ব্রেকিং:
‘শুধু অভ্যুত্থান নয়, আমরা রাষ্ট্র গঠনের নেতাও পেয়ে গেছি’ পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙার আল্টিমেটাম, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন দেশের দায়িত্ব নিলেন সেনাপ্রধান জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ কুমিল্লায় কেউ মারা যায় নি, গুলিবিদ্ধ ৮ জন আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের দুই পাশে আ.লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান দেবিদ্বারে স্বজনদের আহাজারি থামছে না ‘গুলিতে মাথার মগজ উড়ে যায় শোক মিছিল স্থগিত করলো আওয়ামী লীগ মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও
  • রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কুমিল্লার সাবরেজিস্ট্রারকে ঘুষ দিতে হয় প্রতি মাসে কোটি টাকা!

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২৪  

কুমিল্লার সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ বাণিজ্য যেন ওপেন সিক্রেট।সাবরেজিস্ট্রার, দলিল লেখক, সিন্ডিকেট, দালালচক্র সবাইকে দিতে হয় ঘুষ। এ সাবরেজিস্ট্রি অফিসে যেন চলছে ঘুষের মহোৎসব।

সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে প্রতিদিন কোটি টাকা থেকে শুরু করে শতকোটি টাকার দলিল সম্পাদন হয়ে থাকে বলে জানা যায়। এ কার্যালয়ের সাবরেজিস্ট্রার মো. হানিফ প্রায় ২ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এরই মধ্যে তিনি গত দুই বছরে ২৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সেবাগ্রহীতা, অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, দলিল লেখক, দালালদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলিল সম্পাদন, নকল (সার্টিফায়েড) কপি, টিপসইসহ নানা খাতে প্রতি মাসে সাবরেজিস্ট্রারকে কমপক্ষে এক কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়।

এরইমধ্যে দুর্নীতিবিরোধী খবর ছড়িয়ে পড়ায় নিজের এসব অপকর্ম ঢাকতে ঐ সাবরেজিস্ট্রার বদলি হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে যাচ্ছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাবরেজিস্ট্রারকে প্রতি দলিলে সেরেস্তার নামে ৩ হাজার টাকা, দলিলের টিপসই বাবদ ৫শ থেকে ১ হাজার টাকা ও প্রতিটি দলিলের নকল কপিতে (সার্টিফায়েড) স্বাক্ষর করতে দিতে হয় অতিরিক্ত এক হাজার টাকা। পাশাপাশি বিভিন্ন কাগজের প্রকারভেদ এবং দলিলের মূল্যের ওপর সাবরেজিস্ট্রারকে ঘুষ দিতে হয় ১০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত। সাবরেজিস্ট্রার এসব ঘুষের টাকা নিজের হাতে নেন না। সেরেস্তার টাকাটা নেয়া হয় মোক্তারদের মাধ্যমে।

আরো জানা গেছে, নকল স্বাক্ষরের টাকা নকলনবিশদের মাধ্যমে আর টিপসইয়ের টাকা নেয়া হয় পিয়নের মাধ্যমে। উচ্চমূল্যের দলিল এবং ছোটখাটো ত্রুটিযুক্ত দলিলের ক্ষেত্রে কন্ট্রাক্ট করার জন্য রয়েছে দালাল সিন্ডিকেট। অফিস সহকারী এবং পিয়নদের মাধ্যমে কন্ট্রাক্ট হওয়ার সিগন্যাল পেলেই দলিলে স্বাক্ষর করে দেন সাবরেজিস্ট্রার।

সাবরেজিস্ট্রি অফিসে প্রতি মাসে গড়ে দলিল রেজিস্ট্রি হয় প্রায় ১ হাজার। দলিলের নকলের চাহিদা বেশি থাকায় স্বাক্ষর হয় প্রায় ১ হাজারের অধিক। এসব রেজিস্ট্রিকৃত দলিল থেকে সেরেস্তা, নকল, টিপসই ও বিভিন্ন অজুহাতে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ১ কোটি টাকা ঘুষ নিচ্ছেন সাবরেজিস্ট্রার মো. হানিফ। যার পুরো টাকাটাই আদায় করা হয় সরকার নির্ধারিত দলিল ফির বাইরে।

একাধিক ডেভেলপার কোম্পানির প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতিটি ফ্ল্যাট দলিল করতে সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে নানা অজুহাতে ৫-১০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়।  

জানা গেছে, এখানে দলিল লেখকরা সাবরেজিস্ট্রার এবং অফিস খরচের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।

সাবরেজিস্ট্রার মো. হানিফ বলেন, সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে কোনো টাকা-পয়সা নেই না। দলিল লেখক এবং দালাল সিন্ডিকেট সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয় বলে শুনেছি। কিন্তু এর দায় আমার না। কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নিতাম। দলিল সাবমিট প্রসেস ডিজিটালাইজড না হওয়া পর্যন্ত গ্রাহকদের নানাভাবে হয়রানির শিকার এবং অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হবে।