এগিয়ে সুবিদ আলী, মামলায় ড. মোশারফ

কুমিল্লা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেজর (অব.) সুবিদ আলী ভুইয়া ও বিএনপির প্রার্থী ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন। নির্বাচনে তাদের মধ্যে বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। দুই প্রার্থীর মধ্যে আয়ের দিকে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও মামলায় দিকে বিএনপি প্রার্থী।

নির্বাচন কমিশনকে দেয়া হলফনামায় উঠে এসেছে এমন তথ্য।

হলফনামার তথ্যানুযায়ী, সুবিদ আলী ভুইয়ার বাৎসরিক আয় এক কোটি ১২ লাখ ৪২ হাজার ২৩৫টাকা। তিনি কৃষি ও মৎস্য, বাড়ি ভাড়া, এমপির সম্মানী এবং পেনশন, ব্যাংক সুদ থেকে এই টাকা আয় করেন। তার কাছে নগদ টাকা আছে ছয় লাখ ৫২ হাজার ৭১৭ টাকা। স্ত্রীর কাছে আছে ছয় লাখ ৩৬ হাজার ৩১৫ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে ২৫ লাখ ১১ হাজার ৫৮০ টাকা। ব্যাংকে স্ত্রীর টাকা রয়েছে ছয় লাখ ২৬ হাজার ৮৫০ টাকা, তার কাছে থাকা গাড়ির মূল্য ৬৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, স্বর্ণ রয়েছে ৩৪ হাজার ১২০ টাকার, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকার। আসবাবপত্র রয়েছে আড়াই লাখ টাকার।

ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন বছরে আয় করেন এক কোটি নয় লাখ ৭৯ হাজার ৪৪০টাকা। কৃষি, বাড়ি ভাড়া, ব্যাংক আমানত সুদ থেকে তিনি আয় করেন। তার কাছে নগদ টাকা আছে চার লাখ এক হাজার ৫৪৯ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে নিজের নামে ১৮ লাখ ১৩ হাজার ১৬৩ টাকা, স্ত্রীর নামে চার লাখ ৪১ হাজার ৪৭ টাকা, তার কাছে থাকা গাড়ির মূল্য ১২ লাখ ৩২ হাজার ৫৫৩ টাকা, স্ত্রী প্রাইভেট কারের মূল্য ২০ লাখ ৫০ হাজার। স্বর্ণ রয়েছে ১৫ হাজার টাকার, তার স্ত্রীর নিকট রয়েছে বিবাহের উপহার ৪০ভরি স্বর্ণ, নিজের ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে তিন লাখ ৫২ হাজার টাকার, স্ত্রীর রয়েছে তিন লাখ ৮০ হাজার টাকার। নিজ নামে আসবাবপত্র রয়েছে তিন লাখ টাকার, স্ত্রীর নামে রয়েছে পাঁচ লাখ টাকার আসবাবপত্র।

এদিকে, মামলা বেশি ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেনের। তার বিরুদ্ধে ১২ ফৌজদারী মামলা রয়েছে। এগুলোতে তিনি জামিনে আছেন। অতীতেও তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের হয়। সেগুলো বাতিল করা হয়েছে।

অন্যদিকে, সুবিদ আলী ভুইয়ার তিনটি মামলা ছিলো। সেগুলো স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় প্রত্যাহার করেছে।

সুজন কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, হলফনামায় দেয়া প্রার্থীদের তথ্য নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ রয়েছে। মানুষ মনে করে হলফনামা যাছাই করে ভুল তথ্য পেলে ওই প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।