কন্ট্রোলের বাইরে বিএনপি নেতা ফখরুল : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ভেতরে জগাখিচুড়ি অবস্থা বিরাজ করছে। সব নেতা এখন মির্জা ফখরুলের কন্ট্রোলের (নিয়ন্ত্রণ) বাইরে। এ ছাড়া ঐক্যফ্রন্টও এখন ঐক্যবদ্ধ নয়।

আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপিসহ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে আসবে- এমন আশা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা চাই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন। বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট না থাকলে এটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না। আমরা একা নির্বাচন করতে চাই না।

কিন্তু তারা যদি নির্বাচনে না এসে বলে যে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছে, তাহলে তো হবে না। অবশ্য নির্বাচনে না এলে তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে, সেটা তারাও জানেন।

বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার মনোনয়নপত্র জমা না দেয়া প্রসঙ্গে এ নেতা বলেন, এটা তাদের ইন্টারনাল বিষয়। আমি যতদূর জানি, তা?দের মধ্যে দু’জন কাক্সিক্ষত আসন থেকে মনোনয়ন পাননি বলে তারা মনোনয়নপত্র জমা দেননি। আর মির্জা আব্বাস সময়মতো মনোনয়নপত্র জমা দেননি। নির্বাচন কমিশন তাই ম?নোনয়নপত্র জমা নেয়নি। এ নিয়ে বিএনপি মনগড়া অভিযোগ করলে তো হবে না।

‘বিএনপির প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে’ দলটির এমন অভিযোগের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, তথ্য-প্রমাণ দিয়ে বলুন, কোথায় কোথায় আপনাদের প্রার্থীকে বাধা দেয়া হচ্ছে। তাহ?লে নির্বাচন কমিশন তার ব্যবস্থা নেবে। এ সময় অন্ধকা?রে ঢিল ছোড়া বিএনপির পুরনো অভ্যাস বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

জামায়াতের প্রার্থীদের ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়নপত্র দাখিল প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা অভিনব কিছু নয়। জামায়াতকে ছাড়া বিএনপি অচল। তারা একসঙ্গেই কাজ করছে, রাজনীতি করেছে এবং সাম্প্রদায়িকতা করেছে। ২০১৪ সালে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে সহিংসতা হয়েছিল, সেটিও বিএনপির সঙ্গে মিলে জামায়াত করেছিল। জামায়াতকে আলাদা করে লাভ নেই। তারা একই বৃন্তে দুই ফুল। জামায়াতের ভেতরও মুক্তিযোদ্ধা আছে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির দৃষ্টিতে তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তাদের ব্যাখ্যা বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক নন! বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা তাদের মনগড়া মুক্তিযোদ্ধা।

বিএনপি থেকে এবার জঙ্গিদের মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে- এমন অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই যে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা, সে কী? সে জঙ্গি অর্থায়নের সঙ্গে জড়িত নয়? বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গিয়েছে। তাহলে শাকিলা ফারজানা যদি জঙ্গি না হয়, তাহলে জঙ্গি কে? এরকম অনেক জঙ্গিকে তারা মনোনয়ন দিয়েছে বলে আমরা জানি। এগুলো তাদের জন্য নতুন কিছু নয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহম্মদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুব, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।