গণসংযোগে হামলা, ইয়াছিনের লিখিত অভিযোগ

ধানের শীষের গণসংযোগ চলাকালে হামলা প্রতিবাদে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী আমিন উর রশীদ ইয়াছিন।

অভিযোগে ইয়াছিনের দাবি, সোমবার কুমিল্লা সিটি এলাকার কচুয়া চৌমুহনীতে বিএনপি সমর্থকদের ওপর আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে হামলা ও গুলি বর্ষণ করে। এ সময় ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। বিএনপি কর্মী মোখলেছ গুলিবিদ্ধ হয়। মধ্যম আশ্রাফপুরে শোভাযাত্রাকালে তারা হামলা করে। হামলায় কাউন্সিলর মাহবুব, ইকরাম, আলমগীর, নাহিদুজ্জামান, নয়ন, সালাউদ্দীন, রকি, রবিন, জহির, নাহিদ আহত হন।

এ সময় বিএনপি কর্মী আসলাম মিয়ার দোকানের ক্যাশ লুটপাট এবং দোকান ভাংচুর করে। এছাড়া থিরা পুকুরপাড় ইয়াছিন মিয়ার ষ্টেশনারি দোকানও ভাংচুর করে। এ ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের হুমকি ও হামলা চালায়।

তিনি আরোও বলেন, আদর্শ সদরের কলিরবাজার ইউপি আওয়ামী লীগ নেতা সেকান্দার চেয়ারমান, রিমন, মিন্টু, নেতৃত্বে রাতভর বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ী ঘর ভাংচুর করে।

কবিরাজ বাজারে মাহে আলম মেম্বার, কবিরাজ জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পাঁচ দোকান ভাংচুর করা হয়। মাঝিগাছা ও দুতিয়ার দিঘীরপাড়ের দোকানপাট ও দলীয় কার্যালয়ের চেয়ার ভাংচুর করা হয়।

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেতা তারিকুর রহমান জুয়েল বলেন, আমরা তাদের ওপর হামলা করিনি বরং বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা কালিকাপুর ও ধনপুর এলাকায় আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।

কুমিল্লা জেলা রিটার্নিং অফিসার ও ডিসি মো. আবুল ফজল মীর জানান, প্রতিদিন অসংখ্য অভিযোগ আসে। কারো নাম বলতে পারব না। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

বিএনপি প্রার্থী কুমিল্লা জেলা রিটার্নিং অফিসারকে দেয়া অভিযোগ পত্রের অনুলিপি পুলিশ সুপার, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সকল সহকারী রির্টানিং অফিসার, কোতয়ালী ও সদর দক্ষিণ থানার ওসিকে অনুলিপি দেন।