গুগল সার্চে শীর্ষে ‘ইডিয়ট’, কারণ ট্রাম্প!

গুগল ট্রেন্ডের তথ্যমতে, এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি খোঁজা শব্দ হলো ‘ইডিয়ট’। এরইমধ্যে শব্দটি খোঁজা হয়েছে দশ লাখের বেশি বার।

গুগল ইমেজে গিয়ে ইংরেজিতে ‘ইডিয়ট’ শব্দটি লিখলে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি ভেসে ওঠে, যুক্তরাষ্ট্রের একজন কংগ্রেসম্যান এ রকম বক্তব্য দেয়ার পর এখন পর্যন্ত ১০ লাখেরও বেশিবার গুগলে ওই শব্দটি খোঁজা হয়েছে।

কংগ্রেসে গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দার পিচাইয়ের শুনানির সময় এ অদ্ভূত যোগাযোগের বিষয়টি উঠে আসে। মি. পিচাইয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, গুগলের অ্যালগরিদমে এটা কি রাজনৈতিক কোন পক্ষপাত থেকে করা হয়েছে কিনা? তিনি এই অভিযোগ নাকচ করে দেন।

কীভাবে এটা ঘটে? কেন খোঁজার প্রক্রিয়ায় এ বিষয়টি ঘটে- জানতে চান জোয়ি লোফগ্রেন।

মি. পিচাই জবাবে বলেন, কোটি কোটি ‘কি ওয়ার্ড’ থেকে ২০০টির বেশি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন ফলাফল তৈরি করে, যার মধ্যে প্রাসঙ্গিকতা এবং জনপ্রিয়তার মতো বিষয় রয়েছে।

‘সুতরাং এটা এমন না যে, গুটি কয়েক লোক পেছনে বসে ঠিক করছে যে- আমরা ব্যবহারকারীদের কী ফলাফল দেখাবো।’

কংগ্রেসের রিপাবলিকান সদস্যরাও মি. পিচাইকে চেপে ধরেন। যেমন স্টিভ ক্যাবোট জিজ্ঞেস করেন, তার দলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে যেকোনো কিছু লিখলে শুধুমাত্র নেতিবাচক সংবাদগুলোই দেখানো হয়।

মি. পিচাই উত্তর দেন, যখন মানুষ গুগল লিখে কোনোকিছু অনুসন্ধান করে, তখনো এরকম নেতিবাচক খবর দেখা যায়।

‘ইডিয়ট’ শব্দের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি আসার বিষয়টি এ বছরের শুরুর দিকেই আলোচনায় আসে; যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি সফরের সময় ব্রিটিশ বিক্ষোভকারীরা ‘আমেরিকান ইডিয়ট’ গানটিকে ইউকে চার্টের শীর্ষে নিয়ে আসেন।

এটা ঘটে যখন ওয়েবসাইট রেডিট একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করে যে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ছবির সঙ্গে ‘ইডিয়ট’ শব্দটি ছিল। এর মাধ্যমে তারা নিজের স্বার্থে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন ডাটাবেজের ব্যবহার করতে চেয়েছিল, যে প্রবণতা ‘গুগল বম্বিং’ নামে পরিচিত।

কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দের সঙ্গে জড়ানোর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০০৩ সালে ‘মিজেরাবল ফেইলিওর’ বা ‘দুঃখজনক ব্যর্থতা’ লিখলে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ছবি দেখা যেতো।