ব্রেকিং:
‘শুধু অভ্যুত্থান নয়, আমরা রাষ্ট্র গঠনের নেতাও পেয়ে গেছি’ পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙার আল্টিমেটাম, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন দেশের দায়িত্ব নিলেন সেনাপ্রধান জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ কুমিল্লায় কেউ মারা যায় নি, গুলিবিদ্ধ ৮ জন আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের দুই পাশে আ.লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান দেবিদ্বারে স্বজনদের আহাজারি থামছে না ‘গুলিতে মাথার মগজ উড়ে যায় শোক মিছিল স্থগিত করলো আওয়ামী লীগ মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও
  • শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চাঁদপুর-৪ আসনে আ. লীগে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী, আমেজ নেই বিএনপিতে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০১৮  

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত চাঁদপুর-৪ আসন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় আওয়ামী লীগের প্রার্থী। ফলে ৪১ বছর দখলে থাকা আসনটি হারায় বিএনপি। এবারনির্বাচনে হারানো এই আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চায় বিএনপি। যদিও এ আসনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিদু’দলেই রয়েছে বিভক্তি।

এ আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। এদের মধ্যে আছেন বর্তমান এমপি ড. শামছুলহক ভূঁইয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান। তারা দু’জন প্রচার-প্রচারণাসহ বিভিন্ন কর্মসূচিপালন করছেন। এছাড়া মাঠে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. হারুন অররশীদ সাগর, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রোমান, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আমিরআজম রেজা।

স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জানান, ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই আসনে প্রথমে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীনমহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির মাইনুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেমনোনয়ন জমা দেন ড. শামছুল হক ভূঁইয়া। পরে মাইনুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল হলে তিনি আওয়ামী লীগেরটিকিটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এমপি হওয়ার নিজস্ব বলয় তৈরি করতে এবং আওয়ামী লীগকে ঢেলেসাজাতে পছন্দের লোকদের স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে বসান। তারাই গত ৫ বছরদলের পদ-পদবীসহ সব ধরনের সুবিধা নিয়েছেন। দলের একটি অংশকে কাদিয়ানি আখ্যা দিয়ে দলীয় সব কর্মকাণ্ডথেকে দূরে রাখা হয়েছে। এ কারণে বঞ্চিতরা তার বিপক্ষে রয়েছে।

এছাড়া আগামী নির্বাচনে বর্তমান এমপিকে মনোনয়ন দেওয়া হলে ছাড় দেবেন না সাংবাদিক শফিকুর রহমানেরঅনুসারীরাও। তারপরও বিএনপি অধ্যুষিত এ আসনে ড. শামছুল হক ভূঁইয়াকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচনি লড়াইজমিয়ে তুলতে পারবেন বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

এ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান। এর আগে তিনি দু’বার মনোনয়নপেলেও জয়ী হতে পারেননি। ২০১৪ সালে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্থানীয় রাজনীতি নিজেকে দূরে সরিয়েনেন। তবে ২০১৭ সালে আবার এলাকায় আসেন এবং এলাকায় গণসংযোগ করেন। দু’বার নির্বাচন করা এই নেতারপুরনো বেশিরভাগ নেতাই এখন তার সঙ্গে নেই। তাদের কেউ কেউ এখন মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে কাজকরছেন। তারপরও তিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে বিশ্বাস করেন তার সমর্থকরা।

মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা. হারুনুর রশিদ সাগর বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি। চট্টগ্রামমেডিক্যালে শিবিরের বিরুদ্ধে লড়েছি। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত গত ১৫ বছর ধরে।তাছাড়া রাজনীতিতে বিভিন্ন গ্রুপের  ঊর্ধ্বে থাকার চেষ্টা করেছি। তাই সবার সঙ্গেই আমার সুসম্পর্ক রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এবার জননেত্রী শেখ হাসিনা তরুণ নেতৃত্বকে প্রধান্য দেবেন। তাই আমি আশাবাদী। দল যদি আমাকেমনোনয়ন আমি নির্বাচন করবো। আর জয়ী হলে উন্নয়নের পাশাপাশি ফরিদগঞ্জকে মাদকমুক্ত করবো। ফরিদগঞ্জেরাজনীতির নেতৃত্বে সংকট রয়েছে। এখানে গ্রুপিং স্ট্রংলি মেনটেইন করেন সিনিয়র দু’জন। তবে এর বাইরেওঅনেক নেতাকর্মী আছেন যারা গ্রুপিং পছন্দ করেন না। সব গ্রুপের নেতাকর্মীদের আমার সুসম্পর্ক আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনোনয়ন বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী। কারণ, গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারেরমেগা প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান। জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী এবং প্রতিনিধি হিসেবে এলাকায় যেসব কাজকরা দরকার ছিল সেগুলো শতভাগ সম্পন্ন করেছি। তাছাড়া আওয়ামী লীগের কোনও বদনাম হোক এ ধরনের কাজকাজ করিনি। আগামীতে যেন আওয়ামী লীগ বিজয়ী হতে পারে সেজন্য কাজ করেছি।’

১৯৯১ সালে বিএনপি এই আসনটি ভোটব্যাংক তৈরি করেছিল। এ আসন থেকে চারবার নির্বাচিত হয়েছিলেন মরহুমআলমগীর হায়দার। ২০০৮ সালের নির্বাচনের অল্পদিন আগে মাঠে নেমে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েআলোড়নের সৃষ্টি করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমানউপজেলা বিএনপির সভাপতি লায়ন হারুন অর রশীদ।

এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যমোতাহের হোসেন পাটওয়ারী, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান এম এ হান্নান, ঢাকা ট্যাক্সেস বারঅ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্বাস উদ্দিন,জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হুমায়ুন কবিরব্যাপারী।

আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী মোতাহার হোসেন পাটওয়ারী বলেন, ‘বড় দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকেই। তবে আমরা অন্যযেকোনও সময়ের থেকে এখন ঐক্যবদ্ধ। দল যাকে মনোনয়ন দেবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো। দলের এইদুর্দিনে আগের মতো হবে না,ঐক্যবদ্ধভাবেই নির্বাচন করবো।