দেশের কৃষিতে আধুনিকতার ছোঁয়া

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে এসেছে চীনের তৈরি ধান কাটা মেশিন কম্বাইন্ড হারভেস্টার। অত্যাধুনিক এ মেশিনটি পেয়ে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ সৃস্টি হয়েছে।

উপজেলার বালিপাড়া ইউপির মাহামুদ ও আবু ছালেহ নামের দুই যুবক প্রথমবারের মত এ মেশিনটি আনেন। মেশিনের সাহায্যে চাষিরা ত্রিমুখী সুবিধা পাবে বলে জানান মেশিন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেটাল কোম্পানি।

কোম্পানির টেকনিশিয়ান আরমান হোসেন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন কৃষি প্রধান দেশগুলোতে উন্নত প্রযুক্তির ধান কাটার এই কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ব্যবহার হয়ে থাকে। এ মেশিনে একই সঙ্গে ধান কাটা, খর কাটা ও মাড়াইর সুবিধা রয়েছে। ফলে চাষিরা স্বল্প সময়ে কম খরচে তাদের ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চীনের এ মেশিনটির মূল্য ১৮ লাখ টাকা। তবে উপজেলা কৃষি বিভাগের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ভর্তুকির মাধ্যমে ১৩ লাখ টাকায় এটি দেয়া হয়েছে। মেশিনটি গ্রামীণ প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকরা পেয়ে অত্যান্ত খুশি। তাদের সময়, অর্থ সাশ্রয় ও শারীরিক কষ্ট লাঘব হবে এ মেশিনটি ব্যবহারের মাধ্যমে।

মাহামুদ ও আবু ছালেহ জানান, সপ্তাহ খানেক আগে এ মেশিনটি এনেছি। তবে শুরুতেই কৃষকদের কাছ থেকে প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। এ মেশিন আনায় কৃষকরা বেশ উপকৃত হবে। এক একর জমির ধান কাটতে সময় লাগবে এক ঘণ্টা। আর এক একর জমির ধান কাটতে খরচ পড়বে দুই হাজার ৫’শ টাকা। এই তিন ধরনের কাজ শ্রমিক দিয়ে করাতে হলে চাষিদের খরচ পড়ত এর দ্বিগুণ।

বালিপাড়া গ্রামের চাষি ফজলুল হক, কলারন গ্রামের জয়নাল জোমাদ্দার ও আলামিন জানান, ক্ষেত প্রস্তুত থেকে শুরু করে ধান পাকার পর ধান কাটা, খর কাটা ও মাড়াইর কাজ করার জন্য শ্রমিকদের দ্বারে দ্বারে যেতে লাগত। কিন্তু সহজ পদ্ধতির মেশিনটি এলাকায় আসায় চাষিদের সময়, অর্থ সাশ্রয়, শারীরিক কষ্ট ও ভোগান্তি সবই লাঘব হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদিন ভূঁইয়া জানান, পাঁচ লাখ টাকা সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে মাত্র ১৩ লাখ টাকায় এ মেশিনটি দেয়া হয়েছে। মেশিন দ্বারা তিন ধরনের সুবিধা পাবে চাষিরা। ফলে স্বল্প সময় ও কম খরচে তাদের ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন।