নাঙ্গলকোটে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু স্বামী আত্মহত্যার চেষ্ঠা

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে শিরীন আক্তার নুপুর নামের এক কিশোরী গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামী ফরিদ উদ্দিন ওরফে বাবু আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। বর্তমানে ফরিদ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত বুধবার উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউপির ঝাটিয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিরীন পাশ্ববর্তী মৌকরা গ্রামের সিরাজ খন্দকারের মেয়ে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঝাটিয়াপাড়া গ্রামের কবির আহম্মদের ছেলে ফরিদ উদ্দিন ওরফে বাবুর সাথে  প্রেমের সম্পর্ক ধরে গত ৪ মাস পূর্বে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। এরপর উভয় পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নেয়। বিয়ের কয়েক দিন তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের চলছিল। কিন্তু তার শাশুড়ী ছাবিয়া বেগম নুপুরের পরিবারের কাছে যৌতুক দাবী করে এ নিয়ে তার উপর প্রায় সময় নির্যাতন চালাতো। বুধবার সকালেও নপুরকে মারধর করে তার শাশুড়ী ও ননদ। এরপর নুপুরের শশুর বাড়ী থেকে তার মা তাছলিমা বেগমকে ফোন করে জানান নুপুর বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে তিনি এসে দেখেন নুপুরের মরদেহ ঘরে পড়ে রয়েছে। কিন্তু নুপুরের মা এসে পরিবারের কাউকে ঘরে পায়নি। পরে থানায় এসে অভিযোগ জানালে পুলিশ নুপুরের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। 

এ বিষয়ে নুপুরের মা তাছলিমা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, তারা (শশুর বাড়ীর লোকজন) আমার মেয়েকে নির্যাতনের পর গলাটিপে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালিয়ে দেয়ার চেষ্ঠা করছে। নুপুরের বুকে ও হাতে আঘাতের চিহৃ রয়েছে বলেও তিনি জানান। বিয়ের পর সব সময় মেয়েকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো। 

এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোটে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম পিপিএম জানান, নিহত শিরিনের বাবা সিরাজুল ইসলাম খন্দকারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। গতকাল বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো  হয়েছে। তবে তার শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ ছিলনা বলেও জানান তিনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।