নাশকতার নির্দেশ তারেকের, পরোয়ানা করছে না নেতাকর্মীরা

নিরাপদে লন্ডনে বসে নেতাকর্মীদেরকে আবারও নাশকতার নির্দেশ দিয়েছেন পলাতক খুনী তারেক। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি অডিও ক্লিপে শোনা যায়, সারাদেশ অচল করে সরকারের পতন ঘটাতে নেতাকর্মীদের আদেশ দিচ্ছেন ১০ বছর যাবত বিদেশে পালিয়ে থাকা মিঃ খাম্বা তারেক।

অডিও ক্লিপে তারেক জিয়াকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা রাস্তায় নেমে আসুন, সবকিছু বন্ধ করে দিন। সরকারের পতন ঘটাতে যা যা করণীয়, তা করুন। যেকোন পদক্ষেপেই  আমার সমর্থন থাকবে। লাশের পর লাশ পড়লেও আমার আপত্তি নেই, কেবল সরকারের পতন চাই’।
তবে এসময়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের তার কথায় কোনপ্রকার সমর্থন জানাতে শোনা যায়নি।
সেখানে উপস্থিত একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘তারেকের এসব প্রলাপ আমরা আর পরোয়া করিনা। সে নিজে তো খুন, দুর্নীতি করে পালিয়ে এদেশে এসেছে। তার নিজের মা এখন জেলে, অথচ সে এখানে বসে আরাম করে আর বড় বড় ভাষণ দেয়। তার নির্দেশেই একবার ক্ষমতার লোভে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে বিএনপি-জামায়াত। এবার সেই ভুল আর বিএনপি নেতাকর্মীরা করবে না।

‘তাহলে তারেকের বক্তব্য শুনতে কেন আসেন’ এমন প্রশ্ন করতেই তিনি বেশ মলিন স্বরে বললেন ‘পদ বাঁচাতে আসি।”

কথায় আছে, ‘কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না’। ক্ষমতায় থেকে সারাদেশে সন্ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েম করা তারেকের বেলায় এই কথাটি অক্ষরে অক্ষরে সত্য। বিদেশে গিয়েও তাই খাসলত বদলাতে পারেনি মীরজাফর, ঠান্ডা মাথার খুনী জিয়ার এই কুলাঙ্গার পুত্র।
নেতাকর্মীদের প্রতি তার আচরণ তো বরাবরই বাড়ির চাকর বাকরদের মতো। এমনকি সিনিয়র নেতাদের সাথে বেয়াদবি করা ছিল তার প্রতিদিনের রুটিন।

এসব নিয়ে দেশে অবস্থানরত সিনিয়র নেতাদের আফসোসের শেষ নেই। তাদের মন্তব্য, ‘সাহস থাকলে দেশে এসে মাঠে নামো। নেতাকর্মীদের বিপদে ঠেলে দিয়ে তুমি বিদেশে বসে নারী-মদ আর জুয়া নিয়ে ফুর্তি করবে, এসব আর চলবে না। লন্ডন থেকে আসা কোন বার্তায় বাংলাদেশ কোনো আন্দোলন বেগবান হবে না’।

সবমিলিয়ে বলা চলে, তারেকের এসব নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা একে একজন ভীরু,কাপুরুষ,সন্ত্রাসীর ব্যর্থ আস্ফালন ও প্রলাপ হিসেবেই অভিহিত করছেন। যদিও পদ হারানোর ভয়ে এদের সকলেই নাম প্রকাশে ভীষণ অনিচ্ছুক। কাপুরুষ জিয়ার দল বলে কথা!