ভোট চাওয়ার মতো কোন প্রকার অর্জন নেই জামাত-বিএনপির- মুজিবুল হক

চৌদ্দগ্রামে বিশাল নির্বাচনী জনসভায় রেলপথ মন্ত্রী মো: মুজিবুল হক বলেছেন, স্বাধীনতার বিরোধীরা আবারো ভোটের জন্য মাঠে নেমেছে। এরা দেশের শত্রু জাতির শত্রু। এরা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। জামাত সরকার কর্তৃক একটি নিষিদ্ধ দল। তারা বর্তমানে বিএনপি কাঁধে ভর করে রাজনীতিতে নেমেছে। চৌদ্দগ্রামেও একজন জামাতের নেতা ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে এসেছে। মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার মতো কোন প্রকার অর্জন নেই। তারা অতীতে নির্বাচিত হয়েছিলো চৌদ্দগ্রামের মানুষের ভোট নিয়ে। নির্বাচিত হয়ে চৌদ্দগ্রামের মানুষের কল্যাণে কোন উন্নয়ন করেনি। বরং চৌদ্দগ্রামের মানুষের সাথে ধোঁকাবাজি করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর চৌদ্দগ্রামে যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে তা চৌদ্দগ্রামের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড। গতকাল বিকাল ৪টায় চৌদ্দগ্রাম হাইস্কুল মাঠে চৌদ্দগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রেলপথ মন্ত্রী মো:

মুজিবুল হক। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন এলে জামাত কিছু ক্যাডার বাহিনী ভাড়া করে এনে মেহমান বলে পরিচয় দিয়ে বাড়ি ঘরে আশ্রয় দিয়ে থাকে। তাই এসব মেহমান নামের ক্যাডার কারো বাড়ি ঘরে আশ্রয় নিলে কিংবা জায়গা দিলে প্রশাসনের মাধ্যমে এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
মন্ত্রী আরো বলেন, চৌদ্দগ্রামে ইতিপূর্বে যারা নির্বাচিত হয়েছে তারা চৌদ্দগ্রামের মানুষের সাথে বেঈমানী করেছে। আমি কৃষকের ছেলে আপনাদের ভোটে বার বার নির্বাচিত হয়েছি তারপর সংসদের হুইপ হয়েছি, মন্ত্রী হয়েছি কোনদিন আপনাদের ভুলিনি। আপনাদের পাশে ছিলাম আজীবন থাকবো। তাই আগামী ৩০ তারিখ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট চাওয়ার জন্য আমি আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমি এবং আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত হলে চৌদ্দগ্রামের প্রতিটি গ্রাম হবে শহর। 
পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু রশিদ চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) ডা: হারুনুর রশিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সোবহান ভূঁঞা হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দীন আহমেদ চৌধুরী সেলিম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাংবাদিক সোহেল হায়দার চৌধুরী, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওমর ফারুক, পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য ফারুক আহাম্মেদ মিয়াজী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ বি এম এ বাহার, রাশেদা আখতার, জি এম মীর হোসেন মিরু, ভ ম আফতাবুল ইসলাম, গোলাম ফারুক হেলাল, শাহজালাল মজুমদার , জাহিদ হোসেন টিপু, সৈয়দ আহাম্মদ খোকন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পৌরসভার দুইজন কাউন্সিলর জনসভায় উপস্থিত হয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। পরে রাতে মন্ত্রী কাশিনগর ইউনিয়নের বালিমুড়ি গ্রামে এক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।