ব্রেকিং:
‘শুধু অভ্যুত্থান নয়, আমরা রাষ্ট্র গঠনের নেতাও পেয়ে গেছি’ পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙার আল্টিমেটাম, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন দেশের দায়িত্ব নিলেন সেনাপ্রধান জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ কুমিল্লায় কেউ মারা যায় নি, গুলিবিদ্ধ ৮ জন আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের দুই পাশে আ.লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান দেবিদ্বারে স্বজনদের আহাজারি থামছে না ‘গুলিতে মাথার মগজ উড়ে যায় শোক মিছিল স্থগিত করলো আওয়ামী লীগ মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও
  • রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

যা লিখে তোপের মুখে পড়লেন ট্যুইটার প্রধান!

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮  

মিয়ানমারকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরে ট্যুইট লিখে বেকায়দায় পড়েছেন ট্যুইটারের প্রধান কর্মকর্তা জেক ডোরসি।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সারা দুনিয়া যখন সমালোচনা মুখর, তখন মিয়ানমারের প্রশংসা করে ডোরসি লিখেছেন, “সেখানকার মানুষ আনন্দে-ভরপুর আর খাবার-দাবারও অসাধারণ”।

মিয়ানমার নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি পোস্ট দিয়েছেন ডোরসি। সেগুলোতে বলা হয়েছে, গত মাসে তিনি মিয়ানমারের উত্তরাংশে ভ্রমণ করেছেন। মেডিটেশন বা ধ্যানকে কেন্দ্র করেই মূলত ছিল তার এই বিশেষ পরিভ্রমণ। টুইটারে ডোরসির প্রায় ৪০ লাখ ফলোয়ার বা অনুসরণকারী রয়েছে।

এই ব্যাপক সংখ্যক অনুসরণকারীদের সামনে তিনি মিয়ানমারকে ভ্রমণের ইতিবাচক গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরলেও সেখানে মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপরে নির্যাতন, নিপীড়নের ও তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি ডোরসি একেবারেই উপেক্ষা করে গেছেন বলে মনে করছেন সমালোচকেরা।

গত বছর রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপরে সহিংস অভিযান চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এই অভিযানে নিহত হয়েছে শিশু ও নারীসহ কয়েক হাজার নিরীহ মানুষ। মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর সদস্যরা বহু নারীকে ধর্ষণ করেছে এবং জ্বালিয়ে দিয়েছে রোহিঙ্গাদের গ্রাম ও জমির শস্য। জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা।

এই বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে মিয়ানমারকে একটি পর্যটন গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরায় ডোরসি’র ট্যুইটকে ‘নিন্দনীয়’ বলে আখ্যা দিয়ে সমালোচনা করেছে মন্তব্য লিখেছেন একজন।

আরেকজন মন্তব্যকারী আরও বেশ কড়া ভাষায় লিখেছেন, “এটি অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন পরামর্শ।”

মিয়ানমারের পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে এই ব্যক্তি আরও লেখেন, “এতো নিউজ, এতো হৈচৈ-কোলাহল হচ্ছে। অথচ এই নিয়ে উনার প্ল্যাটফর্মে কোনও মনোযোগ নেই?”

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ট্যুইটার ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সমালোচনা করেছে অন্য আরও অনেকে। গত মাসে ফেসবুক বলেছে যে, মিয়ানমারে ‘অফলাইন’ বা মানুষের বাস্তব জীবনে যে সহিংসতা চলছে তা থামাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।

এই বিষয়টিকে সামনে এনে একজন লিখেছেন, “গণহত্যা চালাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু জেক ডোরসি খুব গর্বের সাথে তুলে ধরেছেন তার নীরব পরিভ্রমণের খবর”।