ব্রেকিং:
‘শুধু অভ্যুত্থান নয়, আমরা রাষ্ট্র গঠনের নেতাও পেয়ে গেছি’ পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙার আল্টিমেটাম, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন দেশের দায়িত্ব নিলেন সেনাপ্রধান জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ কুমিল্লায় কেউ মারা যায় নি, গুলিবিদ্ধ ৮ জন আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের দুই পাশে আ.লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান দেবিদ্বারে স্বজনদের আহাজারি থামছে না ‘গুলিতে মাথার মগজ উড়ে যায় শোক মিছিল স্থগিত করলো আওয়ামী লীগ মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও
  • রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

৩০ বীর মুক্তিযোদ্ধা বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে ভারত যাচ্ছেন

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮  

আগামী ১৭ ডিসেম্বর বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে ভারত যাচ্ছেন বাংলাদেশের ৩০ বীর মুক্তিযোদ্ধা। ভারত সরকারের খরচে সে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর নির্ধারিত হাসপাতালে এই চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। ভ্রমণকালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাতায়াতের ব্যয় বহন করবে বাংলাদেশ সরকার। আর চিকিৎসা সম্পর্কিত সব খরচ ভারত সরকার বহন করবে। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর অধীন দিল্লির রিসার্চ অ্যান্ড রেফারেল সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৫ জন এবং পুনের কমান্ড হাসপাতালে ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসা নেবেন। ভ্রমণের সময় মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানিত নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবেন।

জানা যায়, মোট একশজন মুক্তিযোদ্ধাকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেবে ভারত। অসচ্ছল একশ মুক্তিযোদ্ধার জন্য বিশেষ এ সুবিধা দিচ্ছে ভারত সরকার। আর তাদের ভারত ‘মেডিকেল ট্রিটমেন্ট অব হানড্রেড মুক্তিযোদ্ধাস ইন ইন্ডিয়া’- পরিকল্পনার আওতায় ভারত সরকার প্রতিজন মুক্তিযোদ্ধার পেছনে বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই লাখ টাকা ব্যয় করবে। এছাড়া ভারতে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের খরচও বহন করবে দেশেটির সরকার।

এদিকে গত এপ্রিল মাসে দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের মানেকশ কনভেনশন সেন্টারে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা ১৬৬১ জন ভারতীয় সেনাকে সম্মাননা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে ৫ বছরের বহুমুখী এন্ট্রি ভিসাসহ ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।

একই সঙ্গে বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধাদের ১০ হাজার ছেলেমেয়েকে স্কলারশিপ দেওয়া হবে। সব মিলে এই সুবিধা পাবে ২০ হাজার ছেলেমেয়ে।

চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ভারতে চিকিৎসার জন্য আগ্রহী অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। এতে বরগুনা, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলা ছাড়া বাকি সব জেলা থেকে আবেদনপত্র জমা পড়ে। প্রতিটি জেলা থেকে দু’জন করে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রতিটি জেলায় সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে চার সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত এক কমিটি ফেব্রুয়ারি মাসে মন্ত্রণালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা জমা দেন। তালিকা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে টিবি, মানসিক বিকারগ্রস্ততা ও অন্য দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন হয় এমন রোগ এই পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এই চিকিৎসাসুবিধা শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ।