ব্রেকিং:
‘শুধু অভ্যুত্থান নয়, আমরা রাষ্ট্র গঠনের নেতাও পেয়ে গেছি’ পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙার আল্টিমেটাম, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন দেশের দায়িত্ব নিলেন সেনাপ্রধান জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ কুমিল্লায় কেউ মারা যায় নি, গুলিবিদ্ধ ৮ জন আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের দুই পাশে আ.লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান দেবিদ্বারে স্বজনদের আহাজারি থামছে না ‘গুলিতে মাথার মগজ উড়ে যায় শোক মিছিল স্থগিত করলো আওয়ামী লীগ মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও
  • শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আসছে ফাইভ-জি স্মার্টফোন, যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০১৮  

সোমবার স্যামসাং ও ভেরাইজন (ভিজেড) যৌথভাবে ফাইভ-জি স্মার্টফোন বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে। আগামী বছরের প্রথমভাগে এই প্রযুক্তির স্মার্টফোন বাজারে আনবে তারা। যদিও প্রতিষ্ঠান দুটি এখনও জানায়নি ঠিক কোন স্মার্টফোনটি ফাইভ-জি প্রযুক্তির হবে।

তবে সাধারণত বসন্তে গ্যালাক্সি-এস সিরিজের নতুন স্মার্টফোন আনার ঘোষণা দেয় স্যামসাং। এ কারণে প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সর্বশেষ গ্যালাক্সি-এস সিরিজের স্মার্টফোনটিই হয়তো ফাইভ-জি প্রযুক্তির হবে।

স্যামসাংয়ের নাম না জানানো এই ফোনটিই হয়তো প্রথম ফাইভ-জি প্রযুক্তির স্মার্টফোন হবে না। কারণ এই প্রযুক্তি নিয়ে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা এখনও জানা যায়নি। তবে স্যামসাং ও ভেরাইজন বলছে, তাদের স্মার্টফোনটি হতে যাচ্ছে এই প্রযুক্তির প্রথম ফোনগুলোর একটি।

বিশ্বে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হলো স্যামসাং এবং তাদের ফাইভ-জি স্মার্টফোন তৈরির সিদ্ধান্ত মানে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও পিছিয়ে থাকতে পারবে না। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ফাইভ-জি প্রযুক্তির স্মার্টফোন তৈরি করতেই হবে।

এরপরও নেটওয়ার্ক প্রাপ্তি সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। কারণ, ভেরাইজনের ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক বর্তমানে অল্প কিছু জায়গায় আছে। এছাড়া অন্য যেসব প্রতিষ্ঠানের ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক রয়েছে তারাও খুব বেশি শহরে সেবা দিচ্ছে না। ২০১৯ এবং ২০২০ সালে হয়তো এ ধরনের নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি লাভ করবে।

এখন ফাইভ-জি খুব বেশি বিক্রি না হলেও ভবিষ্যতে এটা বেশ জনপ্রিয় হবে। ফোর-জি’র চেয়ে ফাইভ-জি’র গতি অনেক বেশি। গতির পরিমাণ কতটুকু বেশি তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে দেখা গেছে, ফোর-জি’র চেয়ে ফাইভ-জি’র গতি সর্বোচ্চ ১০০ গুণ পর্যন্ত হতে পারে। লাখ লাখ মানুষ এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলে গতি কিছুটা কমবে। তারপরও বাস্তব জীবনে ফোর-জি’র চেয়ে ১০ গুণ বেশি গতি পাবেন ফাইভ-জি গ্রাহকরা।

ফাইভ-জি’র আল্ট্রা-লো লেটেন্সি প্রযুক্তি খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। বর্তমানে প্রচলিত নেটওয়ার্কের সাহায্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে এক সেকেন্ডের কয়েক ভাগের এক ভাগ লেগে যায়। যদিও এই সময়ের পরিমাণ খুবই কম তারপরও ফাইভ-জিতে কোনও সময়ই লাগবে না।

স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য ফাইভ-জি দারুণ একটি প্রযুক্তি। তবে এর কার্যকারিতা ব্রডব্যান্ড গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে অনেক ফলপ্রসূ হবে।

ভেরাইজন ইতোমধ্যে ফাইভ-জি হোম ইন্টারনেট সেবা দেয়া শুরু করেছে। ক্যাবল ইন্টারনেটের পরিবর্তে এই সেবা চালু করেছে তারা যেখানে বিনামূল্যে ইউটিউব টিভি সেবা দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ব্রডব্যান্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে শুরু করেছে এ ধরনের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

ফাইভ-জি’র লো লেটেন্সি প্রযুক্তি চালকবিহীন গাড়ির জন্যও খুব সহায়ক হবে। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এই প্রযুক্তি। এছাড়া চিকিৎসাক্ষেত্রে বিশেষ করে টেলিমেডিসিন এবং রোবোটিক সার্জারির ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে ফাইভ-জি।