ব্রেকিং:
‘শুধু অভ্যুত্থান নয়, আমরা রাষ্ট্র গঠনের নেতাও পেয়ে গেছি’ পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙার আল্টিমেটাম, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন দেশের দায়িত্ব নিলেন সেনাপ্রধান জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ কুমিল্লায় কেউ মারা যায় নি, গুলিবিদ্ধ ৮ জন আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের দুই পাশে আ.লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান দেবিদ্বারে স্বজনদের আহাজারি থামছে না ‘গুলিতে মাথার মগজ উড়ে যায় শোক মিছিল স্থগিত করলো আওয়ামী লীগ মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও
  • শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৫ ১৪৩১

  • || ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলামই শান্তি ও নিরাপদ জীবন ব্যবস্থা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৮  

‘নিশ্চয় আল্লাহর কাছে মনোনীত একমাত্র জীবন বিধান হচ্ছে ইসলাম।’ইসলাম থেকে বিচ্যুতিই হলো বড় অশান্তি। তাই ইসলামের শান্তির ছায়া থেকে সরে গিয়ে কুফরি কিংবা পাপাচারের কারণে সমাজে অশান্তি দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হলো সবচেয়ে বড় মুনাফেকি বা কপটতা। মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন-
‘নিশ্চয় মুনাফিক (কপট ব্যক্তিরা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির ফলে) জাহান্নামের সবচেয়ে নিচে অবস্থান করবে।’ অর্থাৎ যার পরে আর কোনো অপরাধীর বাসস্থান নেই।

সুতরাং যারা দুনিয়ায় আল্লাহ বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করবে, তাদের শান্তি ও নিরাপত্তার কমতি হবে না। আর যারাই অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইবে, তারা দুনিয়াতে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তাদের আখেরাতও হবে নিষ্ফল।

যেমন ধরে নেয়া যাক

সমাজে অর্থনৈতিক কারণে গরিব-অসহায় মানুষসহ রাষ্ট্রীয় অবস্থা অস্থিতিশীল। কুরআন-সুন্নাহর আলোকে যদি ব্যক্তি পরিবার সমাজ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জাকাতভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হয় তবে সমাজের অসাহয়ত্বে অস্থিতিশীল অবস্থা থাকবে না।

আবার ব্যবসা –বাণিজ্যে অস্থির অবস্থার কারণেও মানুষ অস্থিতিশীল। এ অবস্থায় সুদভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে ব্যবসা-বাণিজ্যে কুরআনে প্রণীত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সুষম বণ্টন করলে সে অস্থিরতা থাকবে না।বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে কুরআন-সুন্নাহর বিধান বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।

এভাবেই ইসলাম সর্বক্ষেত্রে মানুষের চিন্তা-চেতনা ও গবেষণার দ্বারকে উম্মুক্ত করেছে। যার সুক্ষ্ণাতি সুক্ষ্ম জ্ঞান রয়েছে কুরআনুল কারিম ও প্রিয়নবির সুন্নায়। যা গবেষণা করে শেষ করা যাবে না।

অথচ সমাজে এমন লোকের সংখ্যাই বেশি, যারা কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কাজ করে আর মুখে বলে যে, তারা সমাজ সংস্কার, শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণ ও উন্নতির চেষ্টায় নিয়োজিত। প্রকৃত পক্ষে তারা শান্তি বিনষ্টকারী, দাঙ্গা-হাঙ্গামাকারী। কপটতায় তাদের অন্তর ভরপুর। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন-

‘আর যখন তাদেরকে বলা হয় যে, দুনিয়ার বুকে ফাসাদ তথা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করো না, তখন তারা বলে, আমরা তো মীমাংসার পথ অবলম্বন করেছি। মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১১-১২)

সোজা কথা হলো

কুরআন-সুন্নাহর বিধান পালনকারীরা যেমন শান্তি ও নিরাপদ মানুষ। ঠিক তেমনি তারা ব্যক্তি পরিবার ও সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবেও নিরাপদ। আর যারা মুখে ভালো কথা বলে কিন্ত কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কাজে লিপ্ত তারাই সমাজে ফাসাদ বা অশান্তি সৃষ্টিকারী।

সুতরাং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কুরআন-সুন্নাহর বিধান বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। পৃথিবীর এ সুন্দর জীবন ব্যবস্থায় যারাই দাঙ্গা-হাঙ্গামা-অশান্তি তথা ফাসাদ সৃষ্টি করবে, তারাই হবে ক্ষতিগ্রস্ত।

আল্লাহ তাআলা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে উক্ত নিফাকি তথা কপটতা থেকে মুক্ত থেকে সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে কুরআনের জ্ঞান অর্জন করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালের সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।