এমন অর্জনে গর্ব হয় আমার, আমার পরিবারেরও

মাশরাফি আসলে কোথায় গিয়ে থামবেন? উত্তরটা কারোরই জানা নেই। এই ম্যাচেই শেষ, ওই ম্যাচেই শেষ বলে বলে মাশরাফি ছাড়িয়ে যাচ্ছেন নিজেকে। ছুঁয়ে ফেলেছেন দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা হাবিবুল বাশারকে। এবার সেটিও ছাড়িয়ে যাবার অপেক্ষা।

আগামীকাল শুক্রবার সিলেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ। দেশের ক্রিকেটের জন্য এটাও অনন্য অর্জন নিশ্চয়! তার সঙ্গে যোগ হচ্ছে বর্তমান সময়ে দেশের সেরা অধিনায়কের মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচ। আছে বছরের শেষ ম্যাচে জয়ের তাড়না। ম্যাচটা জিতে গেলে এই বছরে খেলা তিনটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতে যাবে টাইগাররা।

২০০১ থেকে থেকে শুরু পথচলার। শত বাধা পেরিয়ে মাশরাফি আজ নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশের ক্রিকেটকে। তারুণ্যের আইডল বনে যাওয়া মাশরাফি নিজেকে এতটা উঁচুতে ভাবেন না তবু। নিজেকে দেখেন সবার মতো একজন করে।
এত মাইলফলক তার মনেও থাকে না থাকার কথাও না এই পর্যায়ে এসে। তেমনটা হয়েছে আজও সিলেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে।
আগামীকালকের ম্যাচটা খেললে ছাড়িয়ে যাওয়া হবে হাবিবুল বাশারকে।

‘এর আগেও আমি কয়েকবার অধিনায়কত্ব পেয়েছিলাম কিন্তু সেটা ধরে রাখতে পারিনি বেশিদিন। দেখা গেছে অধিনায়কত্ব পাওয়ার কয়েক ম্যাচ পরেই ইনজুরিতে পড়ে গেছি। এজন্যই সঠিকভাবে বলা কঠিন। অধিনায়কত্ব আমাকে কখনোই স্যুট করেনি কিন্তু সবশেষ ২০১৪ তে যখন আবারও অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পেলাম এরপর থেকে কেটে গেছে চার বছর। তখন নিজেকে নিয়ে আর কিছু ভাববার ছিল না, শুধু একতা জিনিসই ভাবতাম দেশের জন্য কিছু করে যতদিন চলা যায় চলুক।’

এমন অর্জনের পেছনে কিছুটা আফসোসও রয়ে গেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার।
‘সত্যি বলতে, প্রথমবার যখন অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পাই তখন টেস্ট ক্রিকেটটা খুব ভালো খেলছিলাম। লাল বলের ক্রিকেট নিয়ে অনেক বেশি কিছু করার ইচ্ছা ছিল কিন্তু পারিনি।’

যতো কিছুই হোক, সবকিছু ভুলে ৩৫ বছর বয়সী এই পেসার গর্ব করেন দেশের হয়ে খেলতে পেরে। মাশরাফি একা নন, এমন অর্জনে গর্ব হয় তার পরিবারেরও এমনটা অকপটেই স্বীকার করলেন বাংলাদেশের এই সেরা অধিনায়ক।
২০০৯ সালে প্রথমবার নেতৃত্ব পাওয়ার পর এক ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জিতেছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে ২০১০ থেকে এখন পর্যন্ত তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খেলেছে ৬৯টি ম্যাচ। এই ৬৯ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৩৯টি ম্যাচ আর হেরেছে ২৮টি ম্যাচ।