ব্রেকিং:
‘শুধু অভ্যুত্থান নয়, আমরা রাষ্ট্র গঠনের নেতাও পেয়ে গেছি’ পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙার আল্টিমেটাম, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন দেশের দায়িত্ব নিলেন সেনাপ্রধান জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ কুমিল্লায় কেউ মারা যায় নি, গুলিবিদ্ধ ৮ জন আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের দুই পাশে আ.লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান দেবিদ্বারে স্বজনদের আহাজারি থামছে না ‘গুলিতে মাথার মগজ উড়ে যায় শোক মিছিল স্থগিত করলো আওয়ামী লীগ মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও
  • শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কারণ যাই হোক সংঘর্ষ কখনই জনস্বার্থে নয়

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৮  

ঢাকায় এখন চাল ভিক্ষা দেওয়া হয় না। অর্থ-সম্পদ বেড়েছে। মানুষের পকেটের ফাঁকে টাকার উঁকিঝুকি দেখা যায়। তারমানে দেশ নি:সন্দেহে অনেক দূর এসেছে। খাবারের অভাব নাই। একইসাথে কোমড় শক্ত করা উন্নয়নও হচ্ছে। বারবার সরকার পরিবর্তনের কিছু কুফল আছে। এতে অবকাঠামোগত সফলতার হার কমে যায়। চাল-ডালের দামের সাথে অবকাঠামো উন্নয়নের বেশ সম্পর্ক আছে।

শেখ হাসিনা সরকার একাধারে টানা দশ বছর থাকাতে রাস্তা,ঘাট, ব্রীজ, বিদ্যু‌ৎ, তেলসহ অবকাঠামোর নানান দিকে বাংলাদেশকে মোটামুটি সফল বলা যায়। সূর্যের চেয়ে বালির গরম বেশী। আওয়ামী লীগের অতি উ‌ৎসাহী কর্মীরা শতভাগ সফলতার যেমন দাবি করেন, দলটির প্রধান এবং দায়িত্বশীল নেতারা বরং আরও উন্নয়নের জায়গা আছে বলে ভাবেন।

জনগণকে বিগত সাফল্যের জন্য হলেও আবার তাদের ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেন। নৌকা মার্কায় ভরসা রাখতে বলেন। এমন অনুরোধ তারা করতেই পারেন। তারপরও ধরে নেওয়া যাক, জনস্বার্থের অমিমাংসিত কোন ইস্যুর তাড়নায় বিএনপি নামের একটা রাজনৈতিক দল জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন চালিয়েছে এবং পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাঁধিয়ে পুলিশের গাড়ীও পুড়িয়ে দিয়েছে। কিছু অবুঝ, অর্বাচীন কিশোরের এতে সমর্থন থাকলেও থাকতে পারে। বয়সদোষে কেউ কেউ একে সংগ্রাম বা বিপ্লবও ডেকে বসতে পারে। তবে একজন সুনাগরিক বা মানবিকবোধসম্পন্ন কারো সায় এতে পাওয়া যাবেনা। কারণ সরকার পছন্দ না হলে আরকিছু দিন পরেই ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তনের সুযোগ আছে।

আচ্ছা ধরে নেওয়া যাক বিএনপি নামের রাজনৈতিক দল জনস্বার্থে নয়াপল্টনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। জণগনের উন্নয়ন আর ভালোর কথা ভেবে তারা পুলিশের লাঠিচার্জের স্বীকার হয়েছে। সেক্ষেত্রে অন্যায় সমর্থনেরও সুযোগ থাকতো। তবে বেজায় দু:খের সাথে জানাতে হয় বিগত দশ বছরে বিএনপি জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন ইস্যুতে আন্দোলনতো দূরের কথা, রাস্তায়ও নামেনি। গনতন্ত্র, নির্বাচন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার, নামের যে আন্দোলন এবং সংঘর্ষ এতদিন বিএনপি করে এসেছে তার সবই সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন দখল করে ক্ষমতা লাভের জন্য। তারমানে ১৫১ জন মানুষের জন্য আন্দোলন।

বেকারত্ব, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামের মত মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের রাজনীতি থেকে অনেক দূরে এসব নির্বাচন, গনতন্ত্র, ভোটের রাজনীতি। বিএনপি গত দশবছরে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া। জনগণের পাশে যে দল থাকবে না, জনগনের কথা ভাববে না তারাই রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া।