ব্রেকিং:
‘শুধু অভ্যুত্থান নয়, আমরা রাষ্ট্র গঠনের নেতাও পেয়ে গেছি’ পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙার আল্টিমেটাম, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন দেশের দায়িত্ব নিলেন সেনাপ্রধান জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ কুমিল্লায় কেউ মারা যায় নি, গুলিবিদ্ধ ৮ জন আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের দুই পাশে আ.লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান দেবিদ্বারে স্বজনদের আহাজারি থামছে না ‘গুলিতে মাথার মগজ উড়ে যায় শোক মিছিল স্থগিত করলো আওয়ামী লীগ মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও
  • রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কুমিল্লায় আয়ের পথ দেখাচ্ছে ড্রাগন ফল চাষ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০২৪  

জেলার তিতাস উপজেলা একটি নিচু এলাকা। সচারাচর  এলাকার কৃষকরা জমিতে ধানের পাশাপাশি কেউ কেউ সবজি চাষ করে থাকেন। কিন্তু ব্যতিক্রম মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন পলাশ। তিনি শখের বসে চাষ করছেন ড্রাগন ফল। তার এ ড্রাগন চাষে বর্তমানে আয়ের পথ দেখাচ্ছে অন্যদের। তার দেখাদেখি ড্রাগন ফল চাষ শুরু করছেন অনেকেই। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে ড্রাগনের চাষ পদ্ধতি জেনে নিচ্ছেন।
সরেজমিনে মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন পলাশের বাগানে ঘুরে দেখা যায়, চারদিকে সবুজের সমারোহ। প্রায় পাঁচ ফুট উচ্চতার প্রতিটি কংক্রিটের খুঁটি পেঁচিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাগন ফলের গাছ। প্রতিটি গাছে ঝুলছে ১৫ থেকে ২০ টি করে কাঁচা, পাকা ও আধা পাকা ড্রাগন ফল।
বাগানে কর্মরত শ্রমিক জলিল বাসসকে বলেন, গত ৩ বছর পূর্বে নিজের ৩০ শতাংশ জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথমে ৫৫ টাকা করে ৬০০ টি ড্রাগন ফল গাছের চারা এনে রোপণ করেন। রোপণের চার মাসেই গাছে ফল আসে। প্রথম বার প্রতিটি গাছে ৪ থেকে ৫টি ফল আসলেও এ বছর দ্বিতীয় বারে প্রতিটি গাছে ১০ থেকে ২০টি ফল আসছে। ওই একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে রয়েছে আম, পেঁপে ও লেবু গাছ। বর্তমানে প্রতি কেজি ড্রাগন ফল বাগান থেকে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। যা বাজার মূল্য রয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।
এ বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন পলাশ বাসসকে জানান, ড্রাগন ফল চাষ একটি লাভজনক ফল চাষ। অল্প পুজিতে এটি চাষ করা যায়। আমি এক বছর পূর্বে শখের বসে ৩০ শতাংশ জমিতে ৬০০ চারা রোপণ করি। ইনশাআল্লাহ গত দুই বছরের মত এ বছরও পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের চাহিদা পূরণ করেও কয়েক লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারবো। তাই চিন্তা করছি এবছর ড্রাগন ফলের চাষ আরো বাড়াবো। কারন বাজারে ড্রাগন ফলের চাহিদা অনেক এবং ফলটি বেশ রসালো ও সুস্বাদু।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন বাসসকে জানান, সব ধরনের মাটিতে ড্রাগন চাষ হয়। তবে উঁচু জমিতে ভালো ফলন পাওয়া যায়। তিন মিটার পর পর গর্ত করে চারা রোপণ করতে হয়। বছরের যে কোনো সময় চারা রোপণ করা যায়। তবে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলে ভালো। বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস চাষিদের উৎসাহিত করছে।