ব্রেকিং:
‘শুধু অভ্যুত্থান নয়, আমরা রাষ্ট্র গঠনের নেতাও পেয়ে গেছি’ পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙার আল্টিমেটাম, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন দেশের দায়িত্ব নিলেন সেনাপ্রধান জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ কুমিল্লায় কেউ মারা যায় নি, গুলিবিদ্ধ ৮ জন আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের দুই পাশে আ.লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান দেবিদ্বারে স্বজনদের আহাজারি থামছে না ‘গুলিতে মাথার মগজ উড়ে যায় শোক মিছিল স্থগিত করলো আওয়ামী লীগ মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও
  • রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ বেড়েছে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২৪  

দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ সুবিধা পায় না। যাদের একমাত্র ভরসা বেসরকারি নানা সংস্থা। এনজিও পরিচালিত ক্ষুদ্রঋণ ও বিভিন্ন বেসরকারি আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা ঋণ পেয়ে থাকেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত এপ্রিলর শেষ প্রান্তিক পর্যায়ে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ বিতরণ করেছে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান। যা তার আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল শেষে গ্রামীণ ব্যাংকসহ শীর্ষ ১১টি ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান মোট ১২ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। যা ২০২৩ সালের একই সময়ে (এপ্রিল-২০২৩) এসব প্রতিষ্ঠানের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। সে হিসাবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। বিতরণ করা ঋণের বেশিরভাগই দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে। একই সময়ে এসব প্রতিষ্ঠানের ঋণ আদায়ের পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার ৩০ কোটি টাকা।

বর্তমানে ক্ষুদ্রঋণ ও বিভিন্ন বেসরকারি আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ৩ কোটি ৪১ লাখ গ্রাহক ১৩ হাজার ১৭৮টি শাখার মাধ্যমে ঋণ সেবা নিয়ে থাকেন। চলতি বছরের এপ্রিল শেষে সবচেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করেছে গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক এবং এএসএ (আশা)। এই তিন প্রতিষ্ঠান মোট

বিতরণ করা ঋণের ৭৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ বিতরণ করেছে। দেশের মধ্যে কার্যক্রম চালানো শীর্ষ ১১ এনজিওর ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। যাদের বকেয়া ঋণের পরিমাণ ৬ হাজার ১২ কোটি টাকা। গত এপ্রিলে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা বিতরণ করেছে এনজিও প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক। একই সময়ে ব্র্যাকের ঋণ আদায়ের পরিমাণ ৬ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা। ব্র্যাকের বর্তমান ঋণের স্থিতি ৪১ হাজার ৩১৪ কোটি এবং বকেয়া ঋণ ১ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা।

এনজিও প্রতিষ্ঠান আশা গত এপ্রিলে ঋণ বিতরণ করেছে ৩ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা। আলোচিত সময়ে প্রতিষ্ঠানটির আদায়কৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৮৬২ কোটি টাকা, বকেয়া ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। আশার ঋণের স্থিতির পরিমাণ ৩০ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা। গ্রামীণ ব্যাংক এপ্রিলে বিতরণ করেছে ১ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা। তাদের ঋণ আদায়ের পরিমাণ ১ হাজার ৫০৫ কোটি, বকেয়া ঋণ ৪২১ কোটি টাকা। গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণের স্থিতি ১৬ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা।

এছাড়া ব্যুরো বাংলাদেশ ৮৬১ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। তাদের আদায়ের পরিমাণ ১ হাজার ১১১ কোটি, বকেয়া ঋণের পরিমাণ ৩৪১ কোটি টাকা এবং ঋণের স্থিতি ১০ হাজার ৫৮ কোটি টাকা। টিএমএসএস'র ঋণ বিতরণ ছিল ৬৯৬ কোটি, আদায় ৬৮৩ কোটি টাকা। এনজিও প্রতিষ্ঠান টিএমএসএস'র বকেয়া ঋণের পরিমাণ ৩৬৪ কোটি টাকা এবং বর্তমান ঋণের স্থিতি ৫ হাজার ৮১০ কোটি টাকা।