ব্রেকিং:
‘শুধু অভ্যুত্থান নয়, আমরা রাষ্ট্র গঠনের নেতাও পেয়ে গেছি’ পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙার আল্টিমেটাম, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন দেশের দায়িত্ব নিলেন সেনাপ্রধান জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ কুমিল্লায় কেউ মারা যায় নি, গুলিবিদ্ধ ৮ জন আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের দুই পাশে আ.লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান দেবিদ্বারে স্বজনদের আহাজারি থামছে না ‘গুলিতে মাথার মগজ উড়ে যায় শোক মিছিল স্থগিত করলো আওয়ামী লীগ মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও
  • শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

খাবারের আদব

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০১৮  

ইসলামের বিধি-বিধান পাঁচ প্রকার। অর্থাৎ: আকাইদ, ইবাদত, মুআমালাত, মুআশারাত ও আখলাক। পুরো দ্বীন এ পাঁচটির দ্বারা পরিপূর্ণ হয়। এর কোনো একটিও বাদ দিলে দ্বীন পরিপূর্ণ হবে না। সুতরাং ঈমান-আকীদ ঠিক হতে হবে। ইবাদত সঠিক হতে হবে। লেনদেন, কাজ-কারবার স্বচ্ছ, আখলাক পরিশুদ্ধ এবং সামাজিক জীবনাচার সুন্দর ও পবিত্র হতে হবে। তারই নাম মুআশারাত।সামাজিক জীবনাচার বা মুআশারাত পরিশুদ্ধতা ছাড়া দ্বীন অসম্পূর্ণ।এরই মাঝে ইমাম নববী (রহ.) দ্বীনের এমন সব হাদীস উল্লেখ করলেন, যেগুলোর বিষয়বস্তু হল মুআশারাত। একে অপরের সঙ্গে জীবনযাপন করার সুবাদে যেসব নিয়ম-শৃঙ্খলা, শিষ্টাচার ও ভদ্রতার প্রয়োজন হয়, তারই নাম মুআশারাত।’ তথা জীবন যাপনের সহীহ তরীকা, পানাহারের আদব-কায়দা, ঘরে ও বাইরে কীভাবে চলাফেরা করবে, কথাবার্তাসহ উঠাবসা কীভাবে করবে, এ সবকে মুআশারাত বলে।

হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহ.) বলতেন, বর্তমানে মুআশারাতকে দ্বীন থেকে বের করে দিয়েছে। মানুষ এ ক্ষেত্রে দ্বীনের নির্দেশনা পালন করছে না। এমনকি যাদের নামায, রোযা, তাহাজ্জুদ, তেলাওয়াত, তাসবিহাত ও যিকির-আযকার নিয়মিত, তাদের মুআশারাতও আজ নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে তাদের দ্বীন-ধর্ম অঙ্গহীন ও অপূর্ণ।এ কারণেই আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছেন, যার একটি খাবার। এর রয়েছে বিশেষ কিছু শৃঙ্খলা ও নিয়ম। এগুলো মেনে চললে বিভিন্ন রোগ বালায় থেকেও মুক্ত থাকা যাবে। পালন হবে সুন্নতও।নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবকিছু শিক্ষা দিয়েছেন। মুআশারাত সম্পর্কে আল্লামা নববী (রহ.) সর্বপ্রথম খাওয়ার অধ্যায় বর্ণনা করেছেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি বিষয়ের মত পানাহারের ব্যাপারেও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়েছেন। একবার এক মুশরিক ইসলাম সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সাহাবী হযরত সালমান ফারসী (রাযি.) কে বলেছিলেন: انى ارى صاحبكم يعلمكم كل شئ حتى الخرائة، قال اجل (তোমাদের নবী দেখি তোমাদেরকে সবকিছুই শিখিয়েছেন। এমনকি পেশাব-পায়খানার রীতি-নীতিও)।লোকটার উদ্দেশ্য ছিল খুঁত ধরা। অর্থাৎ পেশাব-পায়খানার কথাও কি কেউ কাউকে বলে দেয়? এটাও কি আবার শেখানোর কোনো বিষয়? লোকটা ভেবেছিল, এটা এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় যে, নবীর মত মহান ব্যক্তিত্ব এ ব্যাপারে কথা বলতে হয়। হজরত সালমান ফারসী (রাযি.) লোকটিকে বললেন, امرنا ان لا نستقبل القبلة ولا نستنجى بايماننا) (দেখ, তুমি যে বিষয়টিকে লজ্জাজনক ভাবছ, তা আমাদের কাছে গৌরবজনক। অর্থাৎ তিনি আমাদের দয়ালু নবী। যিনি আমাদেরকে সবকিছুই শিখিয়েছেন। এমনকি পেশাব-পায়খানার নিয়ম-নীতিও।)

আমরা পবিত্র কাবার দিকে ফিরে কিংবা ডান হাতে কাজটি না করি। মাতা-পিতা তাদের ছেলেমেয়েকে যেভাবে সবকিছু শিখিয়ে থাকেন, অনুরূপ নবীও আমাদেরকে প্রতিটি বিষয়ের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। মাতা-পিতা যদি অহেতুক লজ্জাবশত সন্তানকে পেশাব-পায়খানার সহীহ তরীকা শিক্ষা না দেন, তাহলে সমস্ত জীবনেও সে শিষ্টাচার শিখতে পারবে না। মাতা-পিতার চেয়ে শতগুণ অধিক দয়ালু ও মেহেরবান প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাই তিনি খুঁটিনাটি সবকিছুই শিক্ষা দিয়েছেন। পানাহার এটির মধ্যে অন্যতম। তার বাতলানো পদ্ধতিতে পানাহার করলে তা নিছক পানাহার থাকে না; বরং ইবদতে পরিণত হয়, সাওয়াবের উপলক্ষ্য হয়।

খাবার তিন আদব

হাদীসে হজরত আমর ইবনে সালামা (রাযি.) বলেছেন, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, খাওয়ার শুরুতে আল্লাহর নাম নেবে। অর্থাৎ বিসমিল্লাহ পড়ে খাওয়া শুরু করবে। ডান হাতে খাবে। তোমার নিকটবর্তী অংশ থেকে খাবে। হাত বাড়িয়ে অন্য জায়গা থেকে খানা খাবে না। উক্ত হাদীসটিতে খাওয়ার তিনটি আদব বর্ণনা করা হয়েছে।

প্রথম আদবÑবিসমিল্লাহ’ পড়ে খাওয়া শুরু করা। অপর হাদীসে এসেছে, হযরত আয়েশা (রাযি.) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহর নাম স্মরণ করে খাওয়া শুরু করবে।শুরুতে বিসমিল্লাহ’ পড়তে ভুলে গেলে খাওয়া চলাকালীন যখনই স্মরণে পড়বে, তখনই পড়ে নেবে। আর তা এভাবে পড়বে: بسم الله اوله و آخرهআল্লাহ তাআলার নামে শুরু করছি। শুরুতেও আল্লাহর নাম শেষেও আল্লাহর নাম। (আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৭৬৫)

শয়তানের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করো না

হজরত জাবের (রাযি.) থেকে বর্ণিত অপর হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোনো ব্যক্তি যখন ঘরে প্রবেশকালে এবং খাওয়ার সময় আল্লাহ তাআলার নাম নেয়, বিতাড়িত শয়তান তার সঙ্গীদের বলতে থাকে, এ ঘরে তোমাদের রাত যাপনের সুযোগ নেই। কারণ ঘরের মালিক প্রবেশকালে আল্লাহর নাম নিয়েছে, খাওয়ার সময়ও তার নাম জপেছে। শয়তান বলে এ ঘরে খাওয়া-থাকা কোনটির ব্যবস্থা নেই। পক্ষান্তরে ঘরে প্রবেশকালে কিংবা খাওয়ার শুরুতে যদি বিসমিল্লাহ’ পড়া না হয়, শয়তান সঙ্গীদের জানিয়ে দেয়, তোমাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।’ যেহেতু এ লোকটি বিসমিল্লাহ পড়েনি, সুতরাং আশাও মিটে যায়নি। (মুসলিম শরীফ হাদীস নং ৩৭৬২, আবু দাউদ হাদীস নং ৩২৭৩) মোটকথা, এ হাদীস থেকে প্রতিয়মান হয়, আল্লাহর নাম না নিলে শয়তানের অধিকার সাব্যস্ত হয়। ফলে শয়তান সহজেই নিজের জায়গা করে নেয়। গুনাহকে সে আমদানী করে। মন-মগজে কুমন্ত্রানা দেয়। দ্বিধা, সংশয় ও দুর্বলতা সৃষ্টি করে। শয়তান অধিকার করে নেয়Ñ এর অর্থ হল, বরকত চলে যায়। সে খানা হয়ত মুখের স্বাদ মিটায়, কিন্তু বরকত ও নূর সৃষ্টি করতে পারে না।

বড়রা খাওয়ার শুরু করবে

হজরত হুযায়ফা (রাযি.) বলেন, আমরা যখন রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে খানায় শরীক হতাম, আমাদের নিয়ম ছিল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাওয়া শুরু করার পূর্বে আমরা খাদ্যের প্রতি হাত বাড়াতাম না, বরং অপেক্ষা করতাম। তারপর তিনি শুরু করলে আমরাও শুরু করতাম। (মুসলিম হাদীস নং ৩৭৬১, আবু দাউদ হাদীস নং ৩২৭৪) এ হাদীস থেকে ফকীহগণ এ মাসআলা বের করেছেন, যখন ছোটরা বয়সে অপেক্ষাকৃত বড় কারো সঙ্গে একই দস্তরখানে খেতে বসবে, তখন আদব হল, ছোটরা শুরু করবে না বরং বড়দের আরম্ভ করার অপেক্ষা করবে।

শয়তান খাবার হালাল করতে চায়

হজরত হুযায়ফা (রাযি.) বর্ণনা করেন, একবার খাওয়ার সময় রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে উপস্থিত ছিলাম। ইতোমধ্যে এক ছোট মেয়ে দৌঁড়ে এল। তাকে খুব ক্ষুধার্ত মনে হল। তখনো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও অন্যান্যরা খাওয়া শুরু করেনি।কিন্তু মেয়েটি তড়িঘড়ি করে খাবারের প্রতি হাত বাড়িয়ে দিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঝট করে তার হাত ধরে ফেললেন এবং তাকে খাওয়া থেকে বিরত রাখলেন। এর কিছুক্ষণ পর এক গ্রাম্য ব্যক্তি এল। তাকেও ক্ষুধার্ত মনে হল। খাবারের দিকে সেও হাত বাড়াচ্ছিলো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাতও ধরে ফেললেন এবং খাবার থেকে বিরত রাখলেন।

এরপর উপস্থিত সাহাবীদেরকে সম্বোধন করে তিনি বললেন : ان الشيطان يستحل الطعام ان لا يذكر اسم الله تعالى عليه وانه جاء بهذه الجارية ليستحل بها فاخذت بيدها، فجاء هذا الاعرابى ليستحل به، فاخذت بيده، والذى نفسى بيده ان يده فى يدى مع يدها‘শয়তান খাবারে এভাবেই ভাগ বসাতে চায়, যাতে আল্লাহর নাম না নেয়া হয়। তাই সে এ মেয়ের মাধ্যমে খাবার হালাল করার চেষ্টা করল, কিন্তু আমি তার হাত ধরে ফেললাম। তারপর শয়তান খাবার হালাল করার উদ্দেশ্যে এ গ্রাম্য ব্যক্তির রূপ ধরে আসল, কিন্তু এবারো সে আমার কাছে ধরা খেয়ে গেল। আল্লাহ কসম! এ মেয়েটির হাতের সঙ্গে এ মুহূর্তে শয়তানের হাতটিও আমার হাতে আটক রয়েছে।’

ছোটদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে

হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইঙ্গিত করেছেন, বড়দের কর্তব্য হলÑ তাদের উপস্থিতিতে যদি ছোটরা আল্লাহর নাম নেয়া ছাড়া খাওয়া শুরু করে, তবে তাদেরকে সতর্ক করে দেবে। প্রয়োজনে হাত ধরে ফেলবে এবং বলবে, প্রথমে বিসমিল্লাহ’ বল, তারপর খাও। কিন্তু বর্তমানে ছোটদের প্রতি লক্ষ্য রাখা হয় না, তারা ইসলামের শিষ্টাচার পালন করছে কি না। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীসে এ শিক্ষা দিলেন, বড়দের কর্তব্য হল, ছোটদেরকে শিষ্টাচার শেখানো, তাদের ইসলামি তাহযীবের ছায়াতলে গড়ে তোলা এবং প্রয়োজনে তাদের ভুল শুধরে দেয়া। অন্যথায় বরকত থেকে সবাই বঞ্চিত হয়ে যাবে।

শয়তান বমি করে দিল

হজরত উমাইয়া ইবনে মাহশী (রাযি.) বলেন, একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন। পাশেই এক ব্যক্তি বিসমিল্লাহ’ না বলে খাবার খাচ্ছিলো এবং সবগুলো খাবার শেষ করে দিল। সর্বশেষ লোকমাটি অবশিষ্ট ছিল। এ লোকমাটিও খাওয়ার জন্য যখন হাত উঠালো, তখন তার বিসমিল্লাহ’ পড়ার কথা স্মরণ হল। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষা হল, কেউ খাবার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলার কথা ভুলে গেলে স্মরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে بسم الله اوله واخره বলে নেবে। তাই এ ব্যক্তি দুআ’টি পড়ে নিল। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুচকি হেসে বললেন, তুমি যখন বিসমিল্লাহ না পড়ে খাবার খাচ্ছিলে, শয়তানও তোমার সঙ্গে খাচ্ছিলে। স্মরণ হওয়ার পর যখন বিসমিল্লাহ পড়ে নিলে, শয়তান যা খেয়েছিল তা বমি করে দিল। ফলে খাবারে তার যে অংশ ছিল তা শেষ হয়ে গেল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দৃশ্য স্বচক্ষে অবলোকন করে হেসে দিলেন এবং এ দিকে ইঙ্গিত করলেন, কোনো ব্যক্তি খাবার শুরুতে বিসমিল্লাহ ভুলে গেলে, স্মরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে بسم الله اوله و اخره পড়ে নেবে। তাহলে তার খাবারের বেবরকতি দূর হয়ে যাবে। (আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৭৬৮)