খেঁজুর গুঁড়ের স্বাস্থ্য গুণাগুণ

খেঁজুর গুঁড় বাদে শীতকাল যেন ফিঁকে! শীতের ঠান্ডা আমেজের সঙ্গে খেঁজুর গুঁড়ের পিঠা-পায়েসের স্বাদ অতুলনীয়। মুখরোচক খাবার তৈরির জন্যই কি খেঁজুর গুঁড় ব্যবহার করা হয়?না, খেঁজুর গুঁড়ের গুণাগুণ সম্পর্ক আমরা অনেকেই জানি না। এ খেঁজুর গুঁড় কেন খাব? এর উপকারিতা কি? সে সম্পর্কে জেনে নিন-

নিয়মিত খেঁজুর গুঁড় খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক থাকে। ফলে দূষিত রক্তের থেকে যেসব রোগ হয়ে থাকে সেগুলো থেকে অনায়েসেই রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে প্রচুর আয়রন রয়েছে। যা অ্যানিমিয়া রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যাদের অ্যানিমিয়া রোগ রয়েছে তাদের অবশ্যই খেঁজুর গুঁড় খাওয়া প্রয়োজন। এমনকি এতে পুষ্টিকর বিভিন্ন উপাদান রয়েছে। যা বিভিন্ন রোগের সমস্যা সমাধান করতে পারে।

নিয়মিত খেঁজুর গুঁড় খেলে হজমের কোনো সমস্যা থাকবে না। বদ হজম, কোষ্ঠকাঠিণ্য ও আমাশয় এ ধরনের কোনো রোগ শরীরে আসতে পারবে না নিয়মিত খেঁজুর গুঁড় খেলে। এছাড়া খেঁজুর গুঁড় লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। খেঁজুর গুঁড়ে রয়েছে প্রচুর পটাসিয়াম এবং সোডিয়াম যা পেশীকে শক্তিশালী করে এবং অতিরিক্ত মেদ ঝারায়। এছাড়াও যাদের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির সমস্যা রয়েছে তারা খেঁজুর গুঁড় খেতে পারেন ফলে ওজন নিয়িন্ত্রণে থাকবে। এটি ব্লাড প্রেশারকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই ব্লাড প্রেশার, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও লিভারকে সুস্থ রাখার জন্য খেঁজুর গুঁড় খাওয়া খুবই জরুরি। এছাড়াও ত্বককেও সুন্দর ও মিশ্রণ রাখতে পারে খেঁজুর গুঁড়। বয়স ধরে রাখতে অবশ্যই খেঁজুর গুঁড় খেতে হবে। ফুসকুড়ি, ব্রণ ও বলিরেখা নিরাময়ের জন্যও গুড় খেতে পারেন। ১০ গ্রাম খেঁজুর গুঁড় থেকে ১৬ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। প্রতিদিন শরীরে যে পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম দরকার হয় তার চার শতাংশই আসে খেঁজুর গুঁড় থেকে। এটি স্নায়ুতন্ত্রের প্রক্রিয়া সচল করতেও সাহায্য করে।