জনগণের সাড়া না পেয়ে ষড়যন্ত্র করছেন তারেক-ফখরুল: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করে বলেছেন, লন্ডনে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে এবং দেশে মির্জা ফখরুল আলমগীর পাকিস্তানি দূতাবাসে গিয়ে গোপন বৈঠক করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামির নেতৃত্বে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট চলছে। তাদের পক্ষে বাংলাদেশের জনগণ নেই। জনগণ সাড়া না পেয়ে তারা ষড়যন্ত্র শুরু করছেন।

সোমবার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতীক বরাদ্দ নেওয়ার পর নোয়াখালী শহরের আবদুল মালেক উকিল সড়কের জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, লন্ডনে বসে তারেক রহমান পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে বৈঠক করছে। আর ঢাকায় মির্জা ফখরুল পাকিস্তানি দূতাবাসে গিয়ে গোপন বৈঠক করছে। এসব বৈঠকের অর্থ হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা। সেই ষড়যন্ত্র তারা করছে।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা এখানে নির্বাচনে কী করবে? ভোট দেবে আমার দেশের জনগণ। পাকিস্তানের সঙ্গে তাহলে বৈঠক কেন? তারা যদি মনে করেন, ২০০১ সাল আবারও ফিরে আসবে, ২০১৪ সালের আবারও পুনরাবৃত্তি ঘটাবেন, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে আছেন।

সংসদ নির্বাচন আদৌ হবে কি না— অনেক মানুষ এমন আশঙ্কা করছে উল্লেখ করে একজন সাংবাদিক তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কাদের বলেন, এবার বাংলাদেশের জনগণ কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে নতি শিকার করবে না। তারা যে কোনো পরিস্থিতিতে ভোট দিতে প্রস্তুত। নির্বাচনে বিজয়ের মাসে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বেশির ভাগ আসনে বিজয়ী হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী মাত্র সাতজন। এটা ইতিহাসে বিরল। তারাও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন। তারা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও প্রার্থিতা প্রত্যাহার হয়ে যায়। তবে বিদ্রোহী নিয়ে দুর্ভাবনায় আছে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট। তাদের এ বিষয়ে প্রশ্ন করুন। তাদের মনোনয়নপত্র টিকেছে ৫৫৫ জনের। এর মধ্যে কয়জন বসেছে। আমার মনে হয় খুবই কমই।

 

তিনি আরও বলেন, তাদের ঘরের বিবাদ বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। মির্জা ফখরুল দলের কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। তার গাড়িতে, তাদের চেয়ারপারসনের গুলশান অফিসে, তাদের দলের পল্টন অফিসে দফায় দফায় হামলা হচ্ছে। আমি আগেও বলেছিলাম, তারা খুব সংকটে পড়বে। কারণ তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। তাদের মনোনয়ন বঞ্চিতরা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রুমে হামলা করছে। তারা বলছে, হয় মনোনয়ন দাও, নয় টাকা ফেরত দাও।

 

এ সময় ওবায়দুল কাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের দলীয় প্রার্থী মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মমিন, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ, সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান প্রমুখ