জাপা পাচ্ছে ৩৭ আসন, ভাঙছে সম্মিলিত জাতীয় জোট

প্রতারিত হয়েছি। জাপার শরিকরা কিছুই পেলাম না। নতুন মহাসচিব জানালেন জাপার নামে মাত্র ৩৭ আসন বরাদ্দ হয়েছে। তাদের মধ্য থেকেও নাকি রানিং ১২ এমপি নাই। আমাদের জন্য কি আর করবে? এখন আমাদের পথ আমরা দেখব।’ এভাবেই কষ্ট ও ক্ষোভ জানান, জাপার সম্মিলিত জাতীয় জোটের নিবন্ধিত শরিক দল বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এম এ মতিন।

জাতীয় পার্টির নবনিযুক্ত মহাসচিবের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে তিনি ডেইলি বাংলাদেশের প্রতিবেদকের মুখোমুখি হন। মতিন বলেন, চট্টগ্রাম থেকে জাপার সঙ্গে সমন্বয় করারও ব্যবস্থা নেই। কারণ সেখানে নাকি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ছাড়া আর কাউকে দেয়া হয়নি। এমনকি জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুও নাকি বাদ।

মতিন বলেন, এখন আমাদের এককভাবে নির্বাচন করা ছাড়া উপায় নেই। সামান্য কিছু আসনে বিকল্প পথ করে রেখেছি। এগুলো হলো: চট্টগ্রাম- ২, ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, কক্সবাজারে একটি, মৌলভীবাজারে ১টি, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-১, কুমিল্লা-১, চাঁদপুরে চারটিসহ মোট ২৭টি আসনে আমাদের পার্টির নামে মোমবাতি প্রতীকে মনোনয়ন নেয়া আছে। সেগুলোতে আমরা টিকেছিও। এককভাবে নির্বাচন করতে হবে আগে জানলে, ১০০ আসনে প্রার্থী দিতাম।

তাহলে কি জোট থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন? ডেইলি বাংলাদেশের প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে এম এ মতিন বলেন, এককভাবে নির্বাচন করতে হলে, আর জোট থাকলো কোথায়? এবিষয়ে কথা বলার আর কিছু নেই। এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নেই।

সম্মিলিত জাতীয় জোটের অন্য শরিকদের খবর জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্যরা বলে আর কে আছে? আর কারো তো নিবন্ধনও নেই। তাই আর শরিকরা কি করবে জানি না, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মোমবাতি প্রতীকে এককভাবে নির্বাচন করবে।

এম এ মতিন আরো বলেন, আমাদের পার্টির অবস্থান যথেষ্ট ভালো। আমরা এককভাবে যেকটি আসনে নির্বাচন করব, বের হয়ে আসতে পারব ইনশাল্লাহ।

এদিকে সম্মিলিত জোটের বৈঠক শেষে বেরিয়ে এলে কথা হয়, জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গার সঙ্গে। সম্মিলিত জোট ও মহাজোট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো ফাইনাল হয়নি। ৩৭ আসন কথা হয়েছে। ৪৪ আসনের জন্য আলাপ চলছে।

আপনাদের রানিং ১২ এমপি নাকি মনোনয়ন পাচ্ছেন না এবং চট্টগ্রামে নাকি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ছাড়া জাপার আর কেউ নেই? এমন প্রশ্নে রাঙ্গা বলেন, সম্ভাবনা ৯ তারিখ পর্যন্ত আছে। এখনই ফাইনাল হয়েছে বলব না।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সম্মিলিত জাতীয় জোটে কয়েকজন মিলে করা বিএনএ আর ওয়ান ম্যান ওয়ান পার্টির কয়েকটি দল নিয়ে করা ইসলামী মহাজোট থাকছে জাপার সঙ্গে। যাদের কয়েকজন নেতা ছাড়া কোনো কর্মী বা নিবন্ধনও নেই। সবমিলে জাপা এখন একাই, জোট শুধু নামে।