‘টিকিট লাগবে, টিকিট’

বাঙালী খেলা প্রিয় জাতি। আর ক্রিকেট বাংলাদেশের প্রাণ। বাংলাদেশের খেলোয়ার ভক্তদের কাছে এক একটা জীবন্ত আবেগ। আর এই আবেগকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয় কোন আন্তর্জাতিক খেলা হলে। ভাগ্য ভালো থাকলে ছুয়েও দেখার ও সুযোগ হয় অনেকের। কিন্তু স্টেডিয়ামে ঢুকতে টিকিট লাগে। তাই টিকিটের জন্য হুমরি খেয়ে পড়তে হয়। কিন্তু টিকিট থাকে না। যা চলে যায় কালোবাজারি সিন্ডিকেটদের হাতে।

ঢাকার মিরপুর শের-ই- বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ও সফরকারী ক্যারিবীয়দের মধ্যে ওয়েনডে সিরিজ। আর সিরিজের দুইটি ম্যাচ হচ্ছে মিরপুরে। অন্যটি হবে সিলেটে। প্রথম ম্যাচে সফরাকারীদের ৫ উইকেটে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে টিম টাইগার। তাই সিরিজে ১-০ গোলে এগিয়ে মাশিরাফি বাহিনী। এই জন্য দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতি সবার আগ্রহ তুংগে। তাই টিকিট সংগ্রহ করতে ছুটছে নির্দিষ্ট জায়গায়। মিরপুর ইনডোরের পাশে ঘুরে দেখা যায় ভোর থেকে টিকিটের জন্য লাইন দিয়ে আছে অনেক ক্রিকেট ভক্তরা। তারপরও শিওর না যে আদৌ হাতে পাবে কি না স্বপ্নের টিকিট।

 

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকও বাড়তে থাকে। বাড়ে কিছু মানুষ যাদের হাতে আছে টিকিট। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে টিকিট সংগ্রহ করে তারা বিক্রি করছে সেই টিকিট। ১০০ টাকার টিকিটের মূল্য ৫০০ টাকা করে বিক্রি করছে কালোবাজারিরা।

কর্তব্যরত পুলিশের সামনেই চলছে কারবার। তারা দর্শক। চাহিদা বেশি ১০০,১৫০ও ৩০০ টাকার টিকিটের যায় প্রায় ডাবল বা তার বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে ক্রিকেট ভক্তদের।

 

পার্থ নামে এক কলেজ ছাত্রের কাছ থেকে জানা যায়, ১০০ টাকার ৭টি টিকিট ৫০০ টাকা করে ৩৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা দেখবে বলে। তার কাছ থেকে আরো জানা যায়, টিকিট কালোবাজারি তে পুরুষদের থেকে নারীরা বেশি এগিয়ে।

এক মহিলা কালোবাজারি বলেন, ভাই পুলিশের কাছ থেকে বেশি টাকা দিয়ে কিনছি আমার কিছু না থাকলে বেঁচবো ক্যান।

আরো একজন বলে, অল্প কয় টাকা আয় করি। তাও ঝামেলা আছে। পুলশে ধরে নিয়ে গেলে ১০-২০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়ায় আসতে হয়।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এই ব্যাপারে তেমন কোন ভূমিকা নেই। ক্রিকেট বোর্ডে ও আগে কিছু টিকিট বিক্রি হতো এখন তাও নেই। ইউসিবি ব্যাংকে টিকিট পাওয় যাচ্ছে। একজন মানুষকে দুইটি টিকিট দেয়ার নিয়ম থাকলেও তারা দিচ্ছে একটি করে। এক কথায় বলা যায় সবাই মিলেই একটি সিন্ডিকেটে। বিসিবি এই ব্যাপারে কিছু করবে না বা করতে পারবে না। তাই খেলা পাগল ভক্তরা সরকারের ভুমিকা আশা করে। যাতে ক্রিকেট ভক্তরা ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত না হয়।