টেস্ট রেটিং বাড়ল বাংলাদেশের

সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জয়ের পর আইসিসি টেস্ট র‍্যাংকিংয়ে রেটিং বেড়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশের। রেটিং বাড়লেও অল্পের জন্য র‍্যাংকিংয়ের আটে ওঠা হয়নি সাকিব আল হাসানদের। অন্যদিকে স্বাগতিক দলের দাপুটে পারফর্ম্যান্সে ধবলধোলাইয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতায় রেটিং হারিয়েছে উইন্ডিজ।

৬১ রেটিং নিয়ে ঘরের মাঠে উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের কাছে আগের সিরিজে একটি টেস্ট হারায় ২-০ ব্যবধানে জিতলেও র‍্যাংকিংয়ের আটে ওঠা হবে না তা জানা ছিল আগে থেকেই। তবুও রেটিং বাড়িয়ে নেয়ার পাশাপাশি উইন্ডিজের সঙ্গে ব্যবধান কমানোর হাতছানি ছিল সাকিবদের সামনে।

সিরিজ শেষে যা সফলভাবে করতে সক্ষম হয়েছে টাইগাররা। ঘরের মাটিতে ক্যারিবীয়ানদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়ে নিজেদের নামের পাশে ৮ রেটিং পয়েন্ট যুক্ত করেছে বাংলাদেশ। যার ফলে বর্তমানে টেস্ট র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯-এ।

বাংলাদেশের রেটিংয়ে উন্নতির পক্ষান্তরে সিরিজ হারের ফলে ৬ রেটিং হারিয়ে উইন্ডিজের বর্তমান রেটিং পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭০-এ। অর্থাৎ ৭৬ রেটিং নিয়ে সিরিজ শুরু করা দলটি মাত্র ১ রেটিংয়ে এগিয়ে থেকে আইসিসি টেস্ট র‍্যাংকিংয়ে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে অষ্টমস্থানে!

এদিকে, ১১৬ রেটিং নিয়ে তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ভারত। শ্রীলংকার বিপক্ষে সফল সিরিজ শেষে তালিকার দ্বিতীয়স্থানে ওঠে এসেছে ইংল্যান্ড। তাদের অর্জনে রয়েছে ১০৮ রেটিং। দুই রেটিং কম নিয়ে তালিকার তিনে দক্ষিণ আফ্রিকা ও সমান ১০২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চতুর্থ ও পঞ্চমস্থানে অবস্থান নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার।

তাছাড়া ৯৫ রেটিং নিয়ে তালিকার ছয়ে পাকিস্তান ও ৯৩ রেটিং নিয়ে তালিকার সাতে অবস্থান করছে শ্রীলংকা। এরপরের দুই অবস্থানেই রয়েছে উইন্ডিজ আর বাংলাদেশ। আর ১৩ রেটিং নিয়ে র‍্যাংকিংয়ের তলানিতে অবস্থান জিম্বাবুয়ের।

এক নজরে সবশেষ আইসিসি টেস্ট র‍্যাংকিং-

১. ভারত – ১১৬ রেটিং।

২. ইংল্যান্ড- ১০৮ রেটিং।

৩. দক্ষিণ আফ্রিকা- ১০৬ রেটিং।

৪. নিউজিল্যান্ড- ১০২ রেটিং।

৫. অস্ট্রেলিয়া- ১০২ রেটিং।

৬. পাকিস্তান- ৯৫ রেটিং।

৭. শ্রীলংকা- ৯৩ রেটিং।

৮. উইন্ডিজ- ৭০ রেটিং।

৯. বাংলাদেশ- ৬৯ রেটিং।

১০. জিম্বাবুয়ে- ১৩ রেটিং।

এই টেস্ট র‍্যাংকিংটি ২ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে প্রকাশ করা।