ব্রেক্সিট চুক্তিতে ভোট পেছাল

ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোট প্রক্রিয়া পিছিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ভোটাভুটিতে চুক্তিটি পাস না হওয়ার আশঙ্কার জেরেই আকস্মিকভাবে তা পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। খবর সিএনএন’র।

আর এর মধ্য দিয়েই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া ব্রেক্সিট চুক্তিটি আরো অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ল।

থেরেসা মে সোমবার পার্লামেন্টে ভোট পিছানোর ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমরা মঙ্গলবার ভোটাভুটি করলে চুক্তিটি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে প্রত্যাখ্যাত হতে পারে। আর তাই এ সময়ে হাউজে বিভক্তির পথে পা না বাড়িয়ে ভোট পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে। তবে ব্রেক্সিট চুক্তিতে উত্তর আয়ারল্যান্ড নিয়ে পার্লামেন্ট সদস্যদের উদ্বেগ আছে বলে মে স্বীকার করেছেন। তাদের এ উদ্বেগ আমলে নিলে এখনো চুক্তিটি পাস করানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি। থেরেসা মে এখনো ব্রেক্সিট চুক্তিটি ঠিক এবং তা যুক্তরাজ্যের স্বার্থের পক্ষেই বলে সমর্থন বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।

এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মে জানিয়েছেন, তিনি এরইমধ্যে ইইউ নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। ব্রেক্সিট চুক্তিতে ইইউ নেতাদের নিশ্চয়তা প্রাপ্তির অংশ হিসেবে ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে মঙ্গলবার তিনি সাক্ষাতও করবেন। এটি পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট ভোটে তার ব্রেক্সিট চুক্তিকে পাশ করানোর প্রচেষ্টার একটি অংশ।

ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে মঙ্গলবারই ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগের দিন সোমবার তা পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তে কয়েকটি সম্ভাব্য পরিণতির প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে।

বলা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের ইইউ সদস্য পদ প্রশ্নে আরেকটি গণভোটের আয়োজন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অসম্ভব নয়। সেই সঙ্গে কোনো চুক্তি ছাড়াই ‘নো ডিল ব্রেক্সিট’ বাস্তবায়নের বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিশ্লেষকরা। হাউজ অব কমন্সে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ঠিক কবে ভোট আয়োজন করা হবে, সে ব্যাপারেও স্পষ্টভাবে মুখ খুলেননি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসো মে। তবে আগামী ২১ জানুয়ারির আগেই এই ভোট হতে হবে বলেও জানান তিনি।