ভয়ংকর সহিংসতার প্রস্তুতি দেশব্যাপী।

নোয়াখালী বেগমগঞ্জে জামাত বিএনপি এক অন্যরকম নির্বাচনী কর্মপন্থার আভাস দিচ্ছেন,বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, ভারী অস্ত্র, আত্মঘাতী যোদ্ধা, গ্রেনেড, যেন এক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ভয়ানকষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে ক্ষণগণন চলছে। প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক, অসাম্প্রদায়ীক সমাজকর্মী, আওয়ামীলীগ'র ইউনিয়ন থানা ও জেলা পর্যায়ের সংগঠকদের তালিকা পৌঁছে গেছে চুড়ান্তভাবে।

হামলার লক্ষ্যবস্তু ঠিক করা হয়েছে, এবং বিএনপির শীর্ষস্হানীয় নেতাদের উপর হামলা এমনকি গুলি বিদ্ধ হয়ে আহত হলে গনরোষ সৃস্টি হবে, আর তখনই সারাদেশে সশস্র জঙ্গী হামলা করবেজামাত বিএনপির কিলিং মিশন, সুপরিকল্পিত ভাবে অঞ্চলভিক্তিক জঙ্গীদের নিরাপদ জোন তৈরী করা হচ্ছে, নোয়াখালী লক্ষীপুর ফেনী অঞ্চলেরর জন্য বেগমগঞ্জ উপজেলা কে নির্ধারণ করাহয়েছে ভৌগলিক কারনে। প্রশাসনের কতিপয় পুলিশ সদস্য ও জামাত বিএনপি ঘরানার অনুপ্রবেশকারী আওয়ামীলীগ গোপনে সহযোগিতা করছেন। জামাত বিএনপির কাছ থেকে অর্থনৈতিকসুবিধাভোগী ব্যাক্তিরা আওয়ামীলীগের প্রকৃত কর্মীদের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে নেমেছে। সামাজিক বদনাম রটাচ্ছে, হয়রানি করছে নানান ভাবে, ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বদলে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা হয়ে যাচ্ছেন বিচ্ছিন্ন ।

নির্দেশনা পৌঁছানোর কায়দা অভিনব, এ্যাপেক্স ক্লাব, লায়নস্ ক্লাব, কিন্ডার গার্টেনের নামে চৌমুহনী আমানিয়া ও রাজমহল চাইনিজ  পাঁচ/ দশজন করে খাবার খাচ্ছে আর দৈনিক কর্ম পদ্ধতিগ্রহন করছে, ঘটনার আদ্যপান্ত বলছে।

 পারিবারিক অনুষ্ঠান নামে দফায় দফায় বৈঠক করছেন জামাত বিএনপির প্রথম সারির নেতারা,অনেক কিছুই আছে যেগুলো ইচ্ছে করলে আওয়ামীলীগের স্হানীয় হাইকমান্ড মোকাবিলা করতেপারবেন, কিন্তু তারা নজরদারী করছেন না, হয়ত তারা জানে না, হয়তো তাদের জানতে দেয় হচ্ছে না, নয়তো তারা নিজেরাই কোন কিছু ক্ষণগনণা করছেন, বিস্বস্ত সূত্রে জানা যায় প্রায় শতাধিকআত্মঘাতী ইতিমধ্যেই ছাত্র লীগ যুবলীগের সঙ্গে মিশে গেছে, বেগমগঞ্জ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রুপ আছে যারা রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র অংশগ্রহন করছে নিয়মিত। সর্বশেষ গত ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকেমধ্যরাত পর্যন্ত আমানিয়া চাইনিজে বিএনপির সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বরকত উল্লাহ বুলু গ্রুপ প্রধানদের নিয়ে ডিনার করেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

লন্ডনে তারেকের প্রায় দেড়শ কোটি টাকা আটক যা বাংলাদেশে পাঠানোর সময় জব্দ হয়েছে, গত কয়েক দিন যে হাজার কোটি টাকা বিতরন হয়েছে তা কোথা হতে এলো?

ড: জাফর ইকবালের উপর হামলার ধরন ও হামলাকারী যুবক সাংগপাংগ নিয়ে তার পেছনেই ছিলো,যদি সেটা আত্মঘাতী হতো? সর্বশেষ পল্টনে হঠাৎ অক্রমনে এতো লাঠি কোথায থেকে এলো?উদ্যেশ্য এক, হামলা আর নাশকতার ধরন হবে ভিন্ন ভিন্ন।

ইতিমধ্যেই বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর, আমানউল্লাহপুর, গোপালপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হুমকি দেয়া হচ্ছে সাধারন কর্মীসমর্থক ও ভোটারদের। থানায় মামলা হলেও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।