ব্রেকিং:
‘শুধু অভ্যুত্থান নয়, আমরা রাষ্ট্র গঠনের নেতাও পেয়ে গেছি’ পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙার আল্টিমেটাম, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন দেশের দায়িত্ব নিলেন সেনাপ্রধান জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ কুমিল্লায় কেউ মারা যায় নি, গুলিবিদ্ধ ৮ জন আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের দুই পাশে আ.লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান দেবিদ্বারে স্বজনদের আহাজারি থামছে না ‘গুলিতে মাথার মগজ উড়ে যায় শোক মিছিল স্থগিত করলো আওয়ামী লীগ মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও
  • রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো কবে নিজ অর্থ নিতে পারবে,জানতে চেয়েছেন লু

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৪  

ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগের লভ্যাংশ নিতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ অর্থ কত দিনে পরিশোধ করবে, তা জানতে চেয়েছেন সফররত দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারি সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু।

মঙ্গলবার (১৪ মে) প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের গুলশানের বাসভবনে নৈশভোজে এ বিষয়ে জানতে চান তিনি। নৈশভোজ শেষে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সালমান এফ রহমান।

তিনি বলেন, ‘ডলার সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছেন, মার্কিন যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে, অর্থছাড়ে দেরি হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। তারা এও বলেছেন, আমরা বুঝি বাংলাদেশের রিজার্ভের ওপর চাপ রয়েছে। আলোচনার একপর্যায়ে বাংলাদেশ কত দিনে এ অর্থ দিতে পারবে, তা জানতে চান ডোনাল্ড লু’।

সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা আশা করছি, আমাদের রিজার্ভ, রপ্তানি, সঙ্গে রেমিট্যান্সও বাড়বে। তাদের জানিয়েছি, আমাদের অর্থ পরিশোধে একটু সমস্যা হচ্ছে, দেরি হচ্ছে। তবে ক্রমাগত অর্থছাড় হচ্ছে, একেবারে বন্ধ হয়নি।

সালমান এফ রহমান আরও বলেন, ‘বৈঠকে ওনারা বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চায়। আমরা চাই বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে। তখন আমরা বলেছি—হ্যাঁ, আমরাও চাই’।

নির্বাচনের আগে ও পরেও যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে কিছু ইস্যু ছিল জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেন। সেটা খুবই ইতিবাচক একটা চিঠি ছিল। তার পর থেকে আমরা তাদের সঙ্গে অ্যাংগেজমেন্ট শুরু করে দিলাম। সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে প্রথমত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে তারা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চায়। এ ছাড়া তারা বিদ্যুৎ খাত নিয়েও কাজ করতে চায়। ভুটান, নেপাল ও ভারতের সঙ্গে আমাদের বিদ্যুতের একটা আন্তঃযোগাযোগ চায়। আমরা ভারতসহ এ দেশগুলোর সঙ্গে কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি, এটা জেনে তারা খুশি হয়েছে’।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান সালমান এফ রহমান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য যথারীতি তারা ধন্যবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে যতটুকু সাপোর্ট দেওয়া যায় সেটি দেবে বলে জানিয়েছে তারা। আমরা বলেছি রোহিঙ্গাদের যাতে ফেরত নেয় সে জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। তারা বলেছে, আমরা চেষ্টা করছি। আবার এটাও বলেছে, মিয়ানমারের এখন যে অবস্থা তাতে প্রত্যাবাসনে সময় লাগবে।

ভিসানীতি এবং র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, ভিসানীতি নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি। তারাও কথা তোলেনি, আমরাও না। এখন তো মনে হচ্ছে ভিসা নিষেধাজ্ঞা বিএনপির ওপর দেওয়া উচিত। তবে র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমরা তুলেছি। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরত দেওয়ার বিষয়েও কথা বলেছি। তখন তারা বলেছে, এ দুটো বিষয় তাদের বিচার বিভাগের বিষয়। তারা বিচার বিভাগকে জানিয়েছে, আমাদের র‍্যাবের বিষয়গুলোর উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এটার একটা প্রক্রিয়া রয়েছে, সে অনুযায়ী তারা কার্যক্রম এগিয়ে নেবে।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে আমাদের কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে তারা বলেছেন, তোমরা যদি আইএলওর নীতিমালা অনুযায়ী শ্রমনীতি তৈরি কর, আইএলও থেকে যদি কোনো আপত্তি না থাকে তাহলে আমাদেরও কোনো আপত্তি নেই। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও আইএলও দুপক্ষেরই নিয়মনীতি এখন এক। একটা সময় কিছুটা আলাদা ছিল কিন্তু এখন আর সেটা নেই। আমরা খুব আশাবাদী যে আইএলওর সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হয়ে যাবে। হয়ে গেলে আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলাদা কোনো আপত্তি থাকবে না বলে তারা জানিয়েছে।

নৈশভোজে আরও উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, তথ্যমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী আলী আরাফাত, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান ও ঢাকা স্কুল অব বিজনেসের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ।