ব্রেকিং:
‘শুধু অভ্যুত্থান নয়, আমরা রাষ্ট্র গঠনের নেতাও পেয়ে গেছি’ পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙার আল্টিমেটাম, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন দেশের দায়িত্ব নিলেন সেনাপ্রধান জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ কুমিল্লায় কেউ মারা যায় নি, গুলিবিদ্ধ ৮ জন আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের দুই পাশে আ.লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান দেবিদ্বারে স্বজনদের আহাজারি থামছে না ‘গুলিতে মাথার মগজ উড়ে যায় শোক মিছিল স্থগিত করলো আওয়ামী লীগ মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও
  • শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মিনি সুন্দরবন নতুনমাত্রা এনেছে কক্সবাজার পর্যটনে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০১৮  

বিশাল সাগর আর একদিকে ব্াকখালী নদীর মোহনা। এরমাঝে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে বাইন ও কেওড়াসহ নানা প্রজাতির শ্বাসমূলী উদ্ভিদের ম্যানগ্রোভ বন। গাছের মাথা ছুঁয়ে উড়ে যাওয়া বকের সারি, পরিযায়ী পাখি কিংবা বন্য শূকর। দেখে মনে হবে এ বুঝি আরেক সুন্দরবন। কক্সবাজার কস্তুুরাঘাট থেকে মহেশখালী-কুতুবদিয়া ও সোনাদিয়া উপকূলে যাওয়ার পথে বাঁকখালী নদীর মোহনায় দেখা মেলে এ বনের। স্থানীয় ও পর্যটকের কাছে এটি ‘মিনি সুন্দরবন’ হিসেবে পরিচিত। এই বনে শীতকালে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি দেখা যায়। বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় অনেক পাখিও এই বনে এখন দেখা মেলে। এমন সবুজ আর প্রাণ প্রজাতির সম্মিলন দেখতে পাওয়া যায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নুনিয়াছড়া পয়েন্টে। সবুজ আর প্রাণির এই অপূর্ব সম্মিলনকে কাজে লাগাতে চায় বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উদ্যোগে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের এ বনকে পর্যটকদের কাছে আকৃষ্ট করতে বনের পাশে নির্মাণ করা হয়েছে পর্যবেক্ষণ

টাওয়ার ও বিনোদন কেন্দ্র। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমদ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন এই পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। এরপর থেকে রূপ ও সৌন্দর্য্য বেড়েই চলছে ‘মিনি সুন্দরবনের’। যা কক্সবাজার পর্যটনে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা।
পরিবেশবাদী সংগঠন ‘সেভ দ্যা নেচার অব বাংলাদেশে’র চেয়ারম্যান আ ন ম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, অনেকটা সুন্দরবনের আদলে গড়ে উঠা কক্সবাজারের এ সুন্দরবনকে রক্ষার মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন জীববৈচিত্র্য সংরক্ষিত হবে, অপরদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগের জন্য পর্যটনের একটি নতুন স্পট যোগ হয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ভ্রমণপ্রেমীরা এই মিনি সুন্দরবনে আসতে পারেন। তবে পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য প্রচারণা চালাতে হবে।
নুনিয়াছড়া ইসিএ ব্যবস্থাপনা বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আলম জানান, পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের মাধ্যমে পর্যটকরা স্থানীয় ও পরিযায়ী পাখি এবং নানাবিধ প্রাকৃতির সৌন্দর্য্য অবলোকন করতে পারছে। পাখি ও বন্যপ্রাণি শনাক্তকরণ ও জ্ঞানার্জন করতেও অনেকেই আসছেন এখানে। এছাড়া স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি হবে এই বন থেকে। প্রতিদিন বিকালে স্থানীয় ও অনেক পর্যটক টাওয়ারে উঠে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ঢল নামে।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব জানান, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ ধ্বংসের কারণে গত কয়েক বছরে বহু
প্রজাতির প্রাণি বিলুপ্ত হয়েছে। এ কারণে এমন বন সৃজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গত তিন বছরে গাছের উচ্চতা অনেক বেড়েছে। এতে সুন্দরবনের রূপ ও সৌন্দর্য্যও বাড়ছে। পর্যায়ক্রমে এ বনে নির্মাণ করা হবে কয়েকটি ছোট ছোট বিনোদন কেন্দ্র। তিনি বলেন, সুন্দরবন বা এ প্যারাবনে ২০৬ প্রজাতির পাখির বিচরণ রয়েছে। এরমধ্যে দেশি ১৪৯ ও বিদেশি ৫৭ প্রজাতির অতিথি পাখি রয়েছে। বিশ্বের বিলুপ্তপ্রায় অনেক পাখিও এই বনে দেখা যায় এখন। পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের মাধ্যমে এই মিনি সুন্দরবন দেখতে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে নামমাত্র টিকিটের মূল্য নেয়া হবে। এছাড়া বনে বানর, শামুক-ঝিনুক, কাঁকড়া, কাছিম ও চিংড়িসহ বহু প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণির দেখা মেলে।