মুমিনুলের সপ্তম সেঞ্চুরি

ঢাকা টেস্টের শুরুতেও সিলেটের ভূত ভর করেছিল বাংলাদেশের কাঁধে। টপঅর্ডাররা এসেছেন আর গিয়েছেন। ফলে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে সূচনালগ্নেই চাপে পড়েছিল স্বাগতিকরা।

সেখান থেকে দলকে টেনে নেয়ার চেষ্টা করেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। বলের গুণাগুণ বজায় রেখে খেলেন তারা। তাতে প্রথম সেশন শেষে প্রতিরোধের আভাস পাওয়া যায়। দ্বিতীয় সেশনেও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন এ জুটি। দারুণ খেলছেন মুমিনুল ও মুশফিক। এতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

শেষ খবর পর্যন্ত ৩ উইকেটে ১৯১ রান করেছে বাংলাদেশ। এ পথে টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি তুলে তুলে নিয়েছেন মুমিনুল। ৫৪.১ ওভারে সিকান্দার রাজাকে চার মেরে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। পয়েট অব ডায়নামোখ্যাত এ ব্যাটসম্যান ১০২ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন। তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দিচ্ছেন মুশফিক। ইতিমধ্যে ক্যারিয়ারে ২০তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি। মিস্টার ডিপেন্ডেবল - রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

এ রান করার পথে অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মুশফিক। টেস্ট ক্রিকেটে ঘরের মাঠে ২০০০ রানের রানের মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন তিনি।

সিলেটে পাননি, তবে রোববার ঢাকায় টস ভাগ্যকে পাশে পান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস। তবে শুভসূচনা এনে দিতে পারেননি তারা।

সূচনাতেই কাইল জার্ভিসের বলে উইকেটের পেছনে রেজিস চাকাভাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমরুল। ১৬ বল খেলেও ব্যক্তিগত রানের খাতায় কোনো রান যোগ করতে পারেননি এ ওপেনার। খানিক বাদেই একই বোলারের শিকার হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন লিটন।

পরে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ মিথুন। তবে ক্রিকেটের অভিজাত সংষ্করণে অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি তিনি। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ডোনাল্ড তিরিপানোর বলে স্লিপে ব্রেন্ডন টেইলরকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

সিলেট টেস্টে বাজেভাবে হেরে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচাতে ঢাকা টেস্টে হার এড়ালে কিংবা ড্র করলেই হবে না, জিততেই হবে টাইগারদের। ফলে ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে বাঁচামরার।

এমন সমীকরণে বাংলাদেশ একাদশে এসেছে তিন পরিবর্তন। অভিষেক হয়েছে সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও মোহাম্মদ মিথুনের। একাদশে ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। গেল ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলেন তিনি।

এ ত্রয়ী ঢোকায় বাদ পড়েছেন পেসার আবু জায়েদ রাহী, বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত এবং বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু।

বাংলাদেশ একাদশ: ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), মোহাম্মদ মিথুন, আরিফুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।