ব্রেকিং:
‘শুধু অভ্যুত্থান নয়, আমরা রাষ্ট্র গঠনের নেতাও পেয়ে গেছি’ পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙার আল্টিমেটাম, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন দেশের দায়িত্ব নিলেন সেনাপ্রধান জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ কুমিল্লায় কেউ মারা যায় নি, গুলিবিদ্ধ ৮ জন আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের দুই পাশে আ.লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান দেবিদ্বারে স্বজনদের আহাজারি থামছে না ‘গুলিতে মাথার মগজ উড়ে যায় শোক মিছিল স্থগিত করলো আওয়ামী লীগ মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও
  • বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মেজর এম. এ গণির ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০১৮  

আজ ১১ নভেম্বর রোববার। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা, ভাষা আন্দোলনের অগ্রসৈনিক প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য জাতীয় বীর মেজর এম. এ গণির ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকী ।

মেজর গণি ১৯১৫ সালের ১ ডিসেম্বর কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাগাইশ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৭ সালের ১১ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৪১ সালে মেজর গণি ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাইওনিয়ার কোরে কমিশন্ড হিসেবে যোগ দেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে বাঙ্গালি সৈন্যদের বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে মেজর গণি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ও তৎকালীন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কমান্ডার জেনারেল স্যার মেসারভির কাছে বাঙ্গালিদের নিয়ে একটি আলাদা রেজিমেন্ট গঠনের যৌক্তিক দাবি আবেদন পত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন।

এসময় স্যার মেসারভি এ দাবি বাস্তবায়নে মেজর গণিকে সহায়তা করেছিল। অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে মেজর গণি ১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠা করেন। বেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠার দিন কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্টে এক চা চক্রে তদানীন্তন জি.ও.সি ব্রিগ্রেডিয়ার আইয়ুব খান বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের উর্দু ভাষায় কথা বলার নির্দেশ দিলে মেজর গণি তীব্র প্রতিবাদ করেন।

তিনি বলেন, পাঞ্জাব সৈন্যরা পাঞ্জাবী ভাষায় কথা বলতে পারলে বাঙ্গালী সৈন্যরা বাংলা ভাষাতেই কথা বলবে। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট গঠনের মাধ্যমে মেজর গণি ভাষা আন্দোলনেও ভূমিকা রেখেছিলেন। সারা দেশ থেকে তরুণদের নিয়ে তিনি এ রেজিমেন্ট গঠন করেন। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট গঠন, তার সাহসিকতা ও কর্মদক্ষতায় ইর্ষান্বিত হয়ে পাকিস্তানি শাসকরা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং তাকে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করে।

তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ১৯৫৩ সালে সামরিক চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর মেজর গণি রাজনীতিতে যোগদানের মাধ্যমে জনসেবায় নিয়োজিত হন। ১৯৫৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কুমিল্লার বুড়িচং থেকে প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এখানেও তিনি তার কর্মদক্ষতায় সকলের নজর কাড়েন। মেজর গণি যে সাহসিকতা, শক্তি, দুরদর্শিতা ও কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়ে বাঙ্গালী জাতির জন্য উজ্জ্বল প্রদীপ প্রজ্জলন করে গেছেন তা আজও নক্ষত্রের মত চির সমুজ্জল। জাতির ইতিহাসে তার এই নিরন্তর কর্মপ্রয়াসের চিহ্ন কোনো কালেই মুছে যাবে না।

তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পরিবার ও বিভিন্ন সংগঠন থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।