লুণ্ঠিত ১৭৬টি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার, ১ ডাকাত গ্রেফতার

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং ঢাকা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টের মোট ২০০ সিসি টিভি ক্যামেরা ফুটেজ এবং হাইওয়ে পুলিশের বিভিন্ন পয়েন্টের সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের ডাকাতির ঘটনায় ১৭৬টি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধারসহ ০১ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ১১ মে রাত আনুমানিক ০২.৫৮ মিনিটের সময় ০২টি পিকআপযোগে ৮ থেকে ১০ জন ডাকাত মুখ ঢাকা ও খোলা অবস্থায় বাদীর গ্যাস সিলিন্ডার রাখা প্রতিষ্ঠানের বাউন্ডারির ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাত দল পাহারায় থাকা ০২ জনকে গলায় গামছা পেছিয়ে ধারালো ছুড়ি দিয়ে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে অফিসের ভিতর আটকে রাখে।
একপর্যায়ে ডাকাত দল বাদীর প্রতিষ্ঠানের ১৮০ বোতল গ্যাস সিলিন্ডার, ৫১৪ বোতল সয়াবিন তেল এবং ২৩ কেজি চাল তাদের সঙ্গে আনা ০২টি পিকআপ গাড়িতে লোড করে এবং বাদীর একটি পিকআপ গাড়িতে অবশিষ্ট গ্যাস সিলিন্ডারগুলো লোড করে, রাত আনুমানিক ০৩.৪০ মিনিটের সময় ঢাকাগামী মহাসড়কের দিকে চলে যায়। জানা যায়, ডাকাত দল সর্বমোট ১৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬৩৭ টাকার মালামাল লুন্ঠন করে।
কুমিল্লা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ঘটনার পরপরই মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে গঠিত একটি চৌকস টিম স্থানীয় সোর্সের দেওয়া তথ্য এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টের মোট ২০০ সিসি ক্যামেরা ফুটেজ এবং হাইওয়ে পুলিশের বিভিন্ন পয়েন্টের সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে লুন্ঠিত মালামাল রাখার অবস্থান নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে, একই টিম কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে লুন্ঠিত ১৭৬টি গ্যাস সিলিন্ডার ডিএমপি মুগদা থানা এলাকায় ধৃত আসামি সাদেকের ভাড়া নেওয়া গুদামের ভিতর থেকে ১৪ মে মধ্য রাতে উদ্ধার করে এবং ০১ জন আসামিকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি হলেন- ঢাকা উত্তর মুগদা থানার আবুল হাশেমের ছেলে সাদেক হোসেন। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা নিয়মিত কুমিল্লা, ফেনী, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলাতে ডাকাতি করে থাকে।
আন্তঃজেলা ডাকাত দলের পলাতক আসামিদের সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতার ও লুন্ঠিত অন্যান্য মালামাল উদ্ধারে অভিযান চলমান আছে।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে চৌদ্দগ্রাম থানার মামলা নং-১১, তারিখ-১২ মে ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড মূলে ধৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।