ব্রেকিং:
‘শুধু অভ্যুত্থান নয়, আমরা রাষ্ট্র গঠনের নেতাও পেয়ে গেছি’ পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙার আল্টিমেটাম, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন দেশের দায়িত্ব নিলেন সেনাপ্রধান জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ কুমিল্লায় কেউ মারা যায় নি, গুলিবিদ্ধ ৮ জন আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের দুই পাশে আ.লীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান দেবিদ্বারে স্বজনদের আহাজারি থামছে না ‘গুলিতে মাথার মগজ উড়ে যায় শোক মিছিল স্থগিত করলো আওয়ামী লীগ মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও
  • শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৫ ১৪৩১

  • || ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিশুদেরও ডায়াবেটিস হয়

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৮  

খেলাধুলা বা কর্মকাণ্ডে সুস্থ শিশুর মতো ডায়াবেটিস শিশুকে সমান সুযোগ দিন

অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোল্লা, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, বারডেম হাসপাতাল

ডায়াবেটিস বড়দেরই বেশি হতে দেখা যায়। তাই বলে শিশুরা এই রোগ থেকে মুক্ত নয়। শিশুদের ডায়াবেটিস ভিন্ন ধরনের, একে বলে টাইপ-১ ডায়াবেটিস।

শিশুদের ডায়াবেটিস ইনসুলিন হরমোনের অভাবেই হয়ে থাকে। ইনসুলিন রক্তের গ্লুকোজ ব্যবহার করে শক্তির জোগান দেয় ও গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর অভাব হলে রক্তের গ্লুকোজ অনেক বেড়ে যায়। শরীর তখন বিকল্প পথে আমিষ ও চর্বি থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করতে বাধ্য হয়। এর ফলে অস্বাভাবিকভাবে রক্তের ভেতর বিষাক্ত পদার্থ (কিটন বডিস) জমতে থাকে। প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়, আক্রান্ত শিশুর গলা ও বুক শুকিয়ে যায়, শিশুটি বারবার পানি খেতে থাকে। ওজন কমে যেতে থাকে, রক্তে অতিরিক্ত বিষাক্ত কিটন বডিস জমে গেলে হঠাৎ অচেতন হয়ে যায়, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ইনসুলিন দিয়ে দ্রুত চিকিৎসা না করলে শিশুটি মারাও যেতে পারে।

শিশুদের রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা সচরাচর করা হয় না, তাই প্রায়ই সময়মতো ধরা পড়ে না। শিশুদের ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:

* ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে।

* বেশি বেশি প্রস্রাব করছে। আবার নতুন করে বিছানায় প্রস্রাব করা শুরু করেছে।

* বেশি বেশি পানি খাচ্ছে, এমনকি রাতে ঘুম থেকে জেগেও।

* আগের মতো আর উদ্দীপ্ত লাগছে না, অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে।

* ঘন ঘন বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হচ্ছে, সুস্থ হচ্ছে না সহজে।

যদি ডায়াবেটিস হয়ে যায় তাহলে কী করবেন?

* চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ইনসুলিন ইনজেকশনের মাধ্যমে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করুন। প্রাথমিক অবস্থায় গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘন ঘন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া লাগতে পারে। এতে মন খারাপ করবেন না।

■ বাচ্চার প্রতিদিনের খাবার থেকে মিষ্টি, চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার বাদ দিয়ে দিন। অন্য খাবার পরিমিতভাবে খাওয়ান। আপনারাও বাচ্চার সামনে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া বাদ দিন।

■ খেলাধুলা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, দৌড়ঝাঁপ, সব ধরনের জীবনধারায় শৃঙ্খলা আনুন।

■ চলাফেরায় বাড়তি সতর্কতা নিন, যাতে বাচ্চা কোনো রকম আঘাত না পায় বা কাটাছেঁড়া না হয়। পায়ের ও দাঁতের যত্নে, নখ কাটায় সাবধান থাকুন।

■ যেকোনো ধরনের খেলাধুলা বা কর্মকাণ্ডে সুস্থ শিশুর মতো ডায়াবেটিস শিশুকে সমান সুযোগ দিন, যাতে সে কোনোভাবে বৈষম্যের শিকার না হয় বা মনে কষ্ট পায়।

■ নিয়মিত বিরতিতে চোখ ও কিডনির সুস্থতা চেক করুন।

■ শরীরে কোনো প্রকার সংক্রমণ বা জ্বর হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন