সুপরিকল্পিত সাজানো হামলাই বিএনপির নির্বাচনী প্রচারনা কৌশল

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজনীতির মাঠ দখল করতে উন্মুখ রাজনৈতিক দলগুলো। প্রার্থীরা নিজস্ব আসনগুলোতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে জোরেসোরেই। নির্বাচনী মাঠে আধিপত্য বিস্তার করতে নানামুখী কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে দলগুলো। নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির নির্বাচনী কৌশল নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়ি বহরে হামলার পর এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য ওঠে এসেছে।

দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, হত্যা, সন্ত্রাস ছাড়া বিভিন্ন মামলায় কোণঠাসা বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং নির্বাচনী পরিবেশকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এসব কৌশল অবলম্বন করছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্বাচনী কৌশলের রূপরেখা সম্পর্কে এসব সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সে লন্ডন থেকে যোগ দেন তারেক রহমান। তারেক রহমানের নির্দেশ অনুযায়ী বৈঠকে বলা হয়, প্রার্থীরা নিজ এলাকাগুলোতে প্রচারণায় অংশ নিতে গেলে তাদেরই সাজিয়ে রাখা কর্মীরা মুখোশ পরে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা চালাবে। মদদপুষ্ট গণমাধ্যম কর্মীরা সেখানে উপস্থিত থেকে এসব হামলার দৃশ্য ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন গণমধ্যমে প্রচার করবে। আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষন ও নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ ভোটারদের সহানুভূতি অর্জনে এই কৌশলের বিকল্প নেই বলে বৈঠকে দলের একজন সিনিয়র নেতা তারেক রহমানের সাথে মত প্রকাশ করেন।
এছাড়াও রাতের আধারে নিজ কর্মীদের দ্বারা স্থানীয় কার্যালয়গুলোতে হামলার মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিকল্প পন্থা হিসেবে সভায় গৃহীত হয়। নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে ৫ জানুয়ারী নির্বাচন বানচালে জ্বালাও-পোড়াও নীতির বাইরে কৌশলমূলক কর্মসূচীর পক্ষে মত দেন একাধিক নেতা। নির্বাচনের অন্তত পাঁচদিন আগে থেকে কর্মীদের ছদ্মবেশে কেন্দ্রের আশেপাশে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। সাজানো হামলার ঘটনাগুলোতে লাঠির বদল বৈঠা এবং বুকে নৌকার ব্যাচ ধারণ করে এসব অপারেশনে অংশ নেয়ার জন্য এলাকাভিত্তিক টিম গঠনের নির্দেশও দেয়া হয় বৈঠকে।
এসব হামলার ঘটনায় জনমতে বিশাল প্রভাব ফেলবে বলে আশাবাদী বিএনপির নেতারা। নিজেদের ওপর সুপরিকল্পিত হামলার জন্য ছাত্রদল এবং যুবদলকে বিশেষভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়। দলের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি এবং তাদের মাঠে নামাতে বিএনপির এই সাজানো কৌশলের প্রতিফলন হিসেবে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জামায়াতের আক্রমনাত্বক নীতিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপরীতভাবে কার্যকর করে নির্বাচনে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার কৌশল হিসেবে কাজ করছে দলটি।