২৩ জনের বিরুদ্ধে চাজশির্ট

বগুড়া পাসপোর্ট অফিসের এডি শাজাহান কবিরের উপর হামলা মামলায় জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন ডিবির এসআই জুলহাজ উদ্দিন।

চার্জশিটে শহর যুবলীগের দফতর সম্পাদক মোস্তাকিম রহমান, অর্থবিষয়ক সম্পাদক আদিলসহ যুবলীগের বিভিন্ন আঞ্চলিক ও ওয়ার্ড কমিটির ২৩ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন- যুবলীগের দফতর সম্পাদক মোস্তাকিম রহমান, অর্থবিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া আদিল, ১৪নং ওয়ার্ড যুবলীগ আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী, ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগ সদস্য ওয়াহেদুজ্জামান জীবন, ১০নং ওয়ার্ড যুবলীগ প্রচার সম্পাদক রাসেল মিয়া, ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মোহাম্মদ জনি, যুবলীগকর্মী শান্ত ব্যাপারী, শহর যুবলীগ সদস্য কাফি, ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ সীমান্ত, ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ যুগ্ম-সম্পাদক শহিদুল, শহর যুবলীগ ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক আজমিরে খোদা খান ওরফে রোমান ওরফে নোমান, মালগ্রাম দক্ষিণপাড়ার হাবিবুর রহমান রনি, চককানপাড়ার নুর আরাফাত শুভ, ঠাকুরগাঁওয়ের রনি, মালগ্রাম চাপড়পাড়ার নবিন, চককানপাড়ার নূর মোকাদ্দি অনু, সূত্রাপুরের মফিজ উদ্দিন লেনের আদনান হোসেন, মালগ্রামের খড়ি শুভ, খান্দার বিলের পাড়ার বেলাল হোসেন, মালগ্রাম চাপড়পাড়ার মোহাম্মদ মনির, কাটনারপাড়ার সোহাগ হোসেন, খান্দার বিলের পাড়ার মিলু মণ্ডল, ঠনঠনিয়া হাড়িপাড়ার হারুন অর রশিদ।

পাসপোর্ট অফিস ঘুষ, দুর্নীতি ও দালালমুক্ত করার কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ২৯ মার্চ দুপুরে শহরের কৈগাড়ি এলাকায় এডি শাজাহান কবিরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। পরে তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

হামলার ঘটনায় বগুড়া পাসপোর্ট অফিসের সহকারী শাজেনুর রহমান ১১ জনের নামে শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন। আট মাসের বেশি সময় ধরে তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দেয় ডিবি পুলিশ।

ডিবির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জুলহাজ উদ্দিন বলেন, গ্রেফতার হাবিবুর রহমান রনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী তদন্তে ওই ১১ জন ছাড়াও আরো ১২ জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাদের নামও চার্জশিটে যোগ করা হয়।

ডিবির ওসি নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, ওই ঘটনার পর প্রধান আসামি মোস্তাকিমকে হিলি সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় তার জনপ্রতিনিধি পদও স্থগিত করা হয়। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করে তিনি পদ ফিরে পান।